পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হরিহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও জায়গা দখলমুক্তকরণের দাবিতে শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর বারটায় ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সামনে হরিহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আবু সাইদ উজ্জল বলেন, ১৯৯৮ সালে মানিকজান খাতুন ৩৩ শতক জায়গা হরিহরপুর বাওসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দানপত্র রেজিষ্ট্রি করে দেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখানে পাঁচটি শ্রেণির জন্য আধাপাকা ক্লাস রুম নির্মাণ করে। কয়েক বছর পর এর পাশেই স্থানীয় কতিপয় লোক অষ্টমণিষা কারিগরি কলেজ করার উদ্যোগ নেন। কলেজের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করার সময় স্থানীয় লোকেরা অন্যান্য ব্যক্তির সাথে দাতা মানিকজানের কাছ থেকে ঐ ৩৩শতক জমি পুনরায় রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমি কারিগরি কলেজের নামে লিখে নিয়ে বিদ্যালয়ের ভবনও তারা দখলে নেন। দখলকারিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্কুল শিক্ষকরা ভীত হয়ে অনেকদিন চুপ ছিলেন।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন করেন কিন্তু নিষ্পত্তির কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা মানববন্ধন করেন।
ভূমিদাতা মানিকজানের ছেলে আব্দুল করিম বলেন,তার মাতা ৩৩শতক জমি প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দিয়েছিলেন কিন্তু ঐ দাগে অবশিষ্ট ২৫ শতক জমি তার বাবার নামে ছিল। পরে বাবা উহা অষ্টমণিষা কারিগরি কলেজকে লিখে দেন। তখন কায়দা করে অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম বাবার সঙ্গে মায়ের কাছ থেকে ঐ ৩৩ শতক জমি আবার লিখে নেন। ফলে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
অষ্টমণিষা কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম বলেন,বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখায় কক্ষগুলো তারা কলেজ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ব্যবহার করছেন। এছাড়া কলেজের নামে রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল মুলে তারা প্রতিষ্ঠানের নামীয় ঐ সম্পত্তি ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন,কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পক্ষে তারা নন। তাই বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।