চলতি মৌসুমে পাবনার সুজানগরের এক সময়ের প্রচণ্ড খরস্রোতা ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাওয়ায় আবাদ করা হয়েছে মৌসুমী পেঁয়াজ। আর বিলের জমিতে আবাদ করা ওই পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানা মিলে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠা ওই গাজনার বিলে এক সময় সারা বছর পানি থৈথৈ করতো। সে সময় উপজেলার মৎস্যজীবীরা বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু কালের আবর্তনে বর্তমানে বিলটিতে আর সারা বছর পানি থাকেনা। বছরের ৬ মাস পানি থাকলেও আর ৬ মাস শুকনা থাকে। চলতি মৌসুমে বিলের বেশিরভাগ উঁচু এলাকা শুকিয়ে গেছে।
ফলে বিলপাড়ের কৃষকেরা শুকিয়ে যাওয়া ওই জমিতে মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এ বছর গাজনার বিলে বিভিন্ন জাতের ১০হাজার ৫‘শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে লালতীর কিং, তেহেরপুরী, সুপার কিং ও হাইব্রিড কিং জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিলপাড়ের বামুন্দি গ্রামের কৃষক আজাহার আলী বলেন এ বছর হাইব্রিড কিং বিঘাপ্রতি ফলন ১০০ থেকে ১২০মণ এবং লালতীর কিং, তেহেরপুরী ও সুপার কিং বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ৯০মণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন গাজনার বিলের অধিকাংশ জমিতে লালতীর কিং, তেহেরপুরী, সুপার কিং ও হাইব্রিড কিং জাতের পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। আশা করছি ওই চারটি জাতের পেঁয়াজেরই বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন চলতি মৌসুমে গাজনার বিলে মাছের দেখা না মিললেও বিলের উঁচু জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। আশা করছি গাজনার বিলের পেঁয়াজে কৃষকের ভাগ্য বদলে যাবে।
সূত্র: এফএনএস