বিশেষ প্রতিবেদক : বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ণ করার লক্ষ্যে কৃষি বিল্পবের কর্মসূচী হাতে নেন। এজন্য খাল খনন,রাসায়নিক সারের সহজলভ্যকরণ,কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার তথা কলের লাঙ্গল আমদানি ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি অসহায় কৃষকদের ভাগ্য ফেরাতে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছিলেন। মানুষকে ভালোবাসাই জিয়ার আদর্শ। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে সেদিনও দেশ প্রেমিক জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশে অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিকের জন্ম হয়েছিল কিন্তু তারা যেটা পারেননি ,জিয়া সেটা করে অমর হয়ে রয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বুঝেছিলেন দেশের ৯০ ভাগ মানুষ কৃষক। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষকদের জন্য কাজ করতে হবে।
পাবনার চলনবিলের মা,মাটি মানুষের সাথে মিশে বড় হওয়া একজন কৃষক ঘরের সন্তানকে দীর্ঘদিন কৃষকদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে । প্রতিনিয়ত ইউনিয়নে ইউনিয়নে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। করছেন সমাবেশ,সংগঠিত করছেন কৃষকদের। তিনি জিয়ার আদর্শের সেই মুলমন্ত্র কৃষি বিল্পবের দীক্ষা দিচ্ছেন । তিনি আর কেউ নন,ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম হলেন সেই আদর্শের সৈনিক-এলাকার কৃষকদের মুখে এখন এমন আলোচনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মাসুমের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “যদি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান আল্লাহ তা’আলা আপনার পাশে দাঁড়াবেন ইনশাআল্লাহ। আগামীর জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।ভাঙ্গুড়া উপজেলার মা মাটির সংগঠন গরিব দুঃখী মানুষের সংগঠন কৃষক দল। এই মানুষগুলোকে ছাড়া আপনি একজন বড় নেতা হতে পারবেন না। তাই এই মানুষগুলোকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ রইলো”।
কাজেকর্মে মিল খুঁজে দেখলে মাসুম ইতোমধ্যে কৃষকবন্ধুতে রুপান্তরিত হয়েছেন, জিয়ার আদর্শ অনুকরণে দিনরাত কৃষকদের পাশে থেকে চলনবিলের আরো একটি কৃষি বিল্পব ঘটাতে প্রাণপনে লড়ছেন। এর আগে কখনো কৃষকদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে ,ইউনিয়নে এত সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।
খানমরিচ ইউনিয়নের কৃষি পরিবারের এক সন্তান মেহেদী হাসান বলেন,এক বছরে মাসুম ভাইয়ের গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশের কারণে প্রতিটি কৃষক এখন তাকে চেনেন।
অষ্টমণিষা ইউনিয়নের রুপসী গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন,কৃষকদের জন্য এজন দরদী মানুষ মাসুম ভাই। কৃষি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তার কাছে গেলে তিনি দৌড়াদৌড়ি করে সহযোগিতা দেন।

আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন,“বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিয়াউর রহমান। আমার পিতার কাছে তার কৃষি বিল্পবের কথা শুনেছিলাম। তখন থেকেই আমি জিয়ার ভক্ত হয়ে যাই। এছাড়া খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশ গড়ার ডাকে একনিষ্ঠ কর্মী হয়েই কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমি চলনবিলের মাটিতে বড় হওয়া এজন মানুষ,তাই বাংলাদেশ কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জারিফ তুহিন আমাকে দায়িত্বটা দেন।”