মুসলিম বিশ্বে অনৈক্যের কারণেই ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের এই ৫টি মুসলিম দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করলে ইসরাইল একদিনও ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাতে পারতো না।
শনিবার সকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে প্রাইম সিভিল সোসাইটি আয়োজিত ‘গাজায় নরকীয় হত্যাকান্ড নির্বিকার মুসলিম বিশ্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি অবিলম্বে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশীপ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
ওআইসি এবং আরব লীগসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন একেবারেই অকেজো উলল্লখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, নতুন কোনো ইসলামিক ইউনিটি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামে কোনো বিভেদ থাকার সুযোগ নেই, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মুসলমান, কিন্তু তাদের মধ্যে ঐক্য নেই। এর ফলে বিভিন্ন জনপদে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছেন।
পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, পশ্চিমারা চায় না মুসলিম দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক। কেননা, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হলে রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র উৎখাত হয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। এতে মুসলিম বিশ্বের ওপর পশ্চিমাদের মোড়লিপনা থাকবে না।
চীনের উইঘুর, মিয়ানমারের আরাকানে, ভারতের কাশ্মীরসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানরা জুলুমের শিকার। মুসলিম বিশ্বকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামে ভেদাভেদের কোনো স্থান নেই। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এক উম্মাহ। বিশ্বের যেখানেই মুসলমানরা নির্যাতিত, সেখানেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে- এটাই ইমানের দাবি।
সংগঠনটির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান, অ্যাড. মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, লে. কর্ণেল ফেরদৌস আজিজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল মাসুদ, অ্যাড. মনির হোসেন, মেহতাজ আহসান, নাগরিক পরিষদের আহবায়ক শামসুদ্দিন প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এতো হতাশার মধ্যেও আমাদের একটা ভালো দিক যে- জুলাই বিপ্লব হয়েছে কোনো বিদেশি শক্তি সহায়তা ছাড়াই। এরমাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম আমাদেরকে নতুন পথ দেখিয়েছেন। আর বিপ্লবের শিক্ষা মুসলিম বিশ্বের অনুপ্রেণা হতে পারে। বিশেষ করে আরব বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জনগণ যদি জেগে উঠে তাহলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।
সূত্র: আমার দেশ