ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজরস্থ আলফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রথম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বললেন, বুধবার এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশে আবারও নতুন করে ফ্যাসিবাদী গ্রুপ তৈরি হচ্ছে, যারা কোনো ধরনের সত্যতার যাছাই না করেই ছাত্রশিবিরের ওপর নিজেদের অপকর্মের দায় উঠিয়ে দেন। এসব মিথ্যাচার বন্ধ না করলে আমরা তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। পাহাড় নিয়ে যারা নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। অথচ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের নেতৃত্ব হিসেবে তৈরির জন্য এ নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এখন পর্যন্ত হাতেগোণা মাত্র দুয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। অবিলম্বে সব ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ আড়াই দশকের গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।
জাহিদুল ইসলাম আরও যোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিট ছিল ঐক্য এবং শাহাদাতের তামান্না। ঐক্যের স্পিরিটে শ্রেণি-পেশা, দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিল। শাহাদাতের তামান্নার স্পিরিটে ফ্যাসিস্টের গণহত্যার মুখেও ছাত্র-জনতা রাজপথ থেকে পালিয়ে না গিয়ে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা প্রদর্শন করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, এখনও দেশের মাত্র তিনটি মাদ্রাসা সরকারি আর অল্প কিছু মাদ্রাসায় অনার্স-মাস্টার্স রয়েছে। কোনো মাদ্রাসায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ নেই। মাদ্রাসাসমূহে অনার্স-মাস্টার্সের সুযোগ বিস্তৃত করার পাশাপাশি আলিয়া ও কওমি সকল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী যেন পড়াশোনা শেষ করার পর সম্মানজনক কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন, এটা নিশ্চিতকরণে এ শিক্ষার্থীদের জন্য চাকুরিতে সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। মাদ্রাসাগুলোত কমার্স চালু করতে হবে।
সূত্র: এফএনএস