রোববার ভোটার তালিকা হাল নাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এক প্রশিক্ষণ কমর্শালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সংস্কারের জন্য দেশের আইন এবং সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আপনারা দেখেছেন ১৫ টা রিফর্মস কমিশন হয়েছে। তার মানে কী বদলাতে হবে আমাদের। অতীতকে বদলায়ে উপযুক্তভাবে যাতে বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায়, সেভাবে যাতে সব কিছু পুনর্গঠিত হয়, সংস্কার হয় সে লক্ষ্যেই কিন্তু সরকার কর্তৃক ১৫টা সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি যে কোন ‘রিফর্মস’ করতে গেলে অনেক বিধি বিধান, আইন কানুন ‘অনেক জায়গায় হাত দিতে হয়, না হলে কোন জায়গায় আটকে থাকলে, আইন কানুনে আটকে থাকলে তো অনেক কাজ এগিয়ে নিতে পারবো না। সুতরাং এই রিফর্মস কমিশন যখন তাদের রিপোর্টগুলা দেবে, প্রপোজালগুলা যেগুলা গৃহীত হবে – সেগুলা একোমোডেট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে, আইন কানুনে হাত দিতে হবে, কন্সটিটিউশনে হাত দিতে হবে।
নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল ইলেকশন উপহার দেয়া আমাদের কমিটমেন্ট। জাতি এতোদিন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের বঞ্চনার কষ্ট আমরা দূর করতে চাই। বঞ্চনা ঘোচাতে এসেছি আমরা।এসয় আরও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বাসস