গত ২৬/১১/২০২৪ ইং তারিখে পাবনা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় “প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ” শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটিতে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদটিতে লেখা হয়েছে -শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত উপবৃত্তির টাকা তাদের না দিয়ে তা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি একেবারেই ডাহা মিথ্যা। কারণ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার কোন সুযোগ নেই । তাছাড়া বিতরণকৃত তালিকার ভিত্তিতে মোবাইল নম্বর যাচাই করলে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। আর প্রকাশিত সংবাদটিতে যে সকল অভিভাবকদের প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় দাবি করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয় । প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাদের কোন রকমের আত্মীয়তার সম্পর্ক নাই।
বরং করণিক কোনো ত্রুটি ঘটলে সারাদেশেই নির্ধারিত তারিখের পূর্বে তা সংশোধনের নিয়ম রয়েছে এবং এক্ষেত্রেও সংবাদ পরিবেশনার বহু পূর্বেই করণিক ত্রুটি সংশোধনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোও হয়েছে।
আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিদ্যালয়ের সাবেক কমিটির কিছু রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী সদস্যের যোগসাজশে একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। ওই কুচক্রী মহলটি দীর্ঘদিন ধরে আমাকে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যত্র বদলি করার জন্য বিভিন্নভাব হেনস্থা করে আসছেন।
চাকুরীর ক্ষেত্রে বদলী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, পারাবারিক কারণে আমি পৈত্রিক এলাকায় বদলীকে শ্রেয়তর মনে করি। কিন্তু সন্তানের পড়ালেখার কারণে ও বদলী প্রক্রিয়ার কিছু স্বাভাবিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয় নি। অথচ এই বিষয়টিকে জুড়ে দিয়ে আমার মতো একজন নারী শিক্ষককে হেনস্থা করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চাওয়া কিছু মানুষের প্ররোচনায় যে সকল তথাকথিত সংবাদ পরিবেশনা করা হয়েছে তা সত্যের বিপরীত ও মানহানিকর।
আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোছা: হোসনেয়ারা পারভীন
প্রধান শিক্ষক
৭৩ নং ডাঙ্গা কালুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পাবনা সদর,পাবনা।