ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ১০বছর আগে এক ব্যবসায়ীর দোকান ও গোডাউনের তালা ভেঙ্গে অবৈধভাবে মালামাল লুটের বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলী পাড়া বাজারের এক মুদি ও হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ আবুল হোসেন বাদি হয়ে ৬ নভেম্বর ২০১৪ ইং সালে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন,যাহার ডায়েরী নং ২১০। কিন্তু তখন তিনি বিচার পাননি। এখন বৈষম্যবিরোধী সরকার ক্ষমতায়,তাই নতুন করে তিনি আইনি ব্যবস্থা চান।
জানাগেছে, ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান মাষ্টারের ছেলে।বর্তমান ঢাকায় অবস্থান করেন। তার অভিযোগ,, পাটুলী পাড়া বাজারে মৃত ইউসুব সরকারের পুএ জাহাঙ্গীর আলম ও রঞ্জুর নিকট চুক্তিপত্রের মাধ্যমে জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজ অর্থায়নে একটি সেমি পাকা টিন সেড দোকানঘর নির্মাণ করেন ২০০৪ সালের দিকে। সেই ঘরেই দীর্ঘদিন যাবত মুদি ও হার্ডওয়্যার ব্যবসা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে দোকান ঘরের জায়গার মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও রন্জু কাছ থেকে তিনি ৪ শতক জমিক্রয় করেন। এই ক্রয়কৃত জায়গাটি নিয়ে বিক্রেতার সৎ ফুফু জহুরা খাতুন একটি স্হানীয় সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে গোলাম হাসনাইন রাসেল ও আসলাম হোসেন আবুল হোসেনের ৮ লাখ টাকা মুল্যের সম্পত্তি ১ লক্ষ টাকা নিয়ে জহুরাকে রেজিষ্টার করে দিতে বল প্রয়োগ করেন।
এতে আবুল হোসেন রাজি না হলে উক্ত জায়গার উপর ১টি প্রেমশন মামলা দায়ের করানো হয়। সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের পূত্র মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেলের নির্দেশে পাবনা জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আসলাম আলীর নেতৃত্বে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত জাহাঙ্গীর আলম মধু,রাঙ্গালিয়া গ্রামের ইপি সদস্য বারি,পাটুলী পাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য চারু,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হাফিজ রঞ্জুর সমন্বয়ে অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০ জন লোক আবুল হোসেনের ক্রয়কৃত দোকানে তালা ঝুলিয়ে গবরের স্তুপ করে রাখে ও দোকান ভাংচুর করে। আসামীগণ একই ব্যক্তির নির্দেশে দোকান ও গোডাউন ভর্তি সকল মালামাল দিনে এবং রাতের মধ্যে লুটপাট করে নিয়ে যায়। যাহার আনুমানিক মুল্য ৫০ লক্ষ টাকা। দোকান লুটপাটের সময় আবুল হোসেন শশুর বাড়িতে ছিল,জানতে পেরে বাড়িতে এসে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে স্হানীয় এমপি মকবুল হোসেনের কাছে জানালে এম পি সাহেব ভুক্তভোগীর কাগজপএ দেখে উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি ইমরান হাসান আরিফকে নিষ্পত্তির নির্দে শ দেন। আরিফ বিষয়টি রাসেলকে জানানোর পরে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের তেল ভর্তি ড্রাম গুলো নিয়ে যায় এবং দোকানের পিছনে গোডাউন ঘরটি ভেঙে নিয়ে আসামীদের গোয়াল ঘরসহ বাড়ীর চতুর পাশে ঔ চালা দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করেন।
এদিকে প্রেমশন মামলাটি আটটি তারিখ শুনানির মাধ্যমে ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে আবুল হোসেনের পক্ষে রায় হয়। এবিষয়ে পাটুলী পাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ ওসমান গণি বলেন, আবুলের ঘরভর্তি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাট হরিলুট হয়েছে। আজ তা কোটি টাকার সমান। উক্ত মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন বলেন আবুলের প্রতি নেতারা অবিচার করেছে। তার অর্ধকোটি টাকার মালামাল চোখের সামনে লুটের ঘটনা বিশ্বাসই করতে পারি না। রাসেল রন্জু ও আসলামের ভয়ে এলাকার কোন লোক আবুলের পক্ষে সে সময় কথা বলেন নাই মর্মে পাটুলীপাড়ার অনেকেই বলেন। এমপি পুএ রাসেল ,আসলাম ও রন্জুর মুঠো ফোন বন্ধ ও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে ছাএলীগ সভাপতি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং আসলামকেই দায়ী করেছেন।
আবুল হোসেনের দাবী অচিরেই তার প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ আদায়সহ ঘটনার ইন্দনদাতা ও লুটেরা আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।