শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের

ভাঙ্গুড়ায় চল্লিশ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

সিরাজুল ইসলাম আপন
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৫৮ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী মন্ডুতোষ ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামের বড়াল নদীর ওপর সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রায় ১৫টি গ্রামের অন্তত চল্লিশ হাজার মানুষ। একারণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ।এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন দপ্তরে সেতু নির্মাণের জন্য ধরনা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছেনা।

 

জানা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নব্বইয়ের দশকে সরকারিভাবে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া ও চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে বড়াল নদীতে ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে নদীটি খালে পরিণত হয়।তখন থেকে ওই ওয়াপদা বাঁধটি নদীর দক্ষিণ পাড়ের ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের সাথে উত্তর পাড়ের অষ্টমনিষা ও চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ স্থাপনকারী সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে ২০০৮ সাল থেকে বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটি নদীটি সচল করতে ওয়াপদা বাঁধ অপসারণের জন্য সভা-সমাবেশ ও আন্দোলন শুরু করে। এমনকি ওই কমিটি এবিষয়ে আদালতে মামলাও করেন। পরবর্তীতে তাদের দাবীতে জাতীয় নদী বিষয়ক টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ২০১৬ সালের শুরুর দিকে নদী থেকে বাঁধ অপসারণ করতে আসে। এসময় স্থানীয় জনসাধারন তাদের যোগাযোগের অসুবিধার কথা ভেবে বাঁধ অপসারণে বাধা দেয়। সেসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সেখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলে জনসাধারনকে আশ্বস্ত করে বাঁধ কেটে নদী অবমুক্ত করেন।

 

তখন এলাকাবাসী নদী পারাপারে প্রথম ছয় মাস নৌকা ব্যবহার করে। কিন্তু মালামাল পারাপারে অসুবিধা হওয়ায় তারা সেখানে প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এদিকে কর্তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির সাড়ে চার বছর পার হলেও নদীতে সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে নদীর দক্ষিণ পাড়ের ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া, গজারমারা, নুর-নগর, শাহনগর ও চাটমোহর উপজেলার যাবরখোল, পাইকপাড়া, চরপাড়া, মথুরাপুর, পৈলানপুর, জালেশ্বর সহ অন্তত ১৫ টি গ্রামের জনসাধারন প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই নড়বড়ে কাত হয়ে পড়া বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। তবে বেশি বিপাকে পড়েছে নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী উত্তর পাড়ের শিক্ষার্থীরা।

 

দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মন্ডুতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, এ এলাকা মূলত কৃষি নির্ভর। এখানে একপারের মানুষের আবাদী জমি অপর পারে রয়েছে। তাই সেতু না থাকায় নদীর দুই পাড়ের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য তাদের ঘড়ে তুলতে ১০ থেকে ১২ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কৃষক। গ্রামবাসীর একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগের সীমা নেই।

 

নদীর পাড় ঘেঁষে অবস্থিত দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই সরকার বলেন, অত্র বিদ্যালয়ে অর্ধেক শিক্ষার্থী এ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে, বর্ষাকালে তাদের এ ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এতে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা অতিব জরুরী।

 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী আফ্রোজা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া আছে। এখন আমরা প্রস্তাবটির পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd