বগুড়ার জয়পুরপাড়া এলাকার রড ব্যবসায়ী রানা মিয়া (৫৪) হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় প্রধান আসামীকে বগুড়ার বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া চৌকস একটি টিম। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় র্যাব-১২ বগুড়ার দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি মেজর এহতেশামুল হক খান।
র্যাব এই কর্মকর্তা জানান, গত (৮ সেপ্টেম্বর) রোববার রাতে রিকশার ভাড়া মেটানোর নিয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান রানা মিয়া। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক রানা মিয়ার পক্ষে নিয়ে রিকশা চালককে মারধর করেন। পরে ওই রিকশাচালক তার স্বজনদের নিয়ে ওই বখাটে যুবকদের পাল্টা মারধর করে। পরে রানা মিয়া পক্ষে নেওয়া বখাটেরা তার বিবাদে জড়ানোর পাওনা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন, কিন্তু রানা মিয়া সেই চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এতে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয় (১০ সেপ্টেম্বর) রানা মিয়া তাঁর বোনের বাড়িতে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে স্ত্রী রোজিনাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন৷ পথিমধ্যে ওই বখাটেরা রানা মিয়ার পথ রোধ করে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ওই দম্পতিকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে রানা মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে বগুড়া জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সূত্র ধরে র্যাব-১২ বগুড়ার একটি চৌকস দল সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে।
এর ধারাবাহিকতায় (৪ নভেম্বর) রাত দেড়টায় র্যাব সদর দপ্তর ইন্টঃ উইং এর সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রড ব্যবসায়ী রানা মিয়া(৫৪) হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ইনসান (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইনসান (৩২) বগুড়া সদরের জয়পুরপাড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ফিরোজের পুত্র। আসামি বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এফএনএস