জাতীয় সংসদের পাবনা-৩ (ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর,ফরিদপুর) আসনের এক জনপ্রিয় মুখ এডভোকেট মাসুদ খন্দকার। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদি আদর্শে বিশ^াসী এলাকার লাখো মানুষের এক আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। জেল,জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তিনি এলাকার নেতাকর্মীদের কখনো ভোলেননি। অনুরুপভাবে আওয়ামী স্বৈরশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত কর্মী-সমর্থকদের পাশে থেকে মানবিক ও আইনি সহায়তা দিয়ে সব সময় তাদের পাশে থাকার পরীক্ষিত মানুষ তিনি। এটা আবারো ষ্পষ্ট হলো শনিবার চাটমোহরে বিএনপির গণর্যালিতে।
সরেজমিন দেখা যায়,শনিবার বিকালে চাটমোহর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত স্থানীয় বালুচর মাঠে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ’ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে আগমন করেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ^াস,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং কেন্দ্রীয় নেতা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। উর্ধতন এসব নেতৃবৃন্দের সম্মানে ও তাদের বরণের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড.মাসুদ খন্দকারের ডাকে চাটমোহর বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হন হাজারো নেতাকর্মী। ধানের শীষের সে এক অর্ভতপুর্ব সম্মেলন ! অতপর মাসুদ খন্দকারকে একটি হ্যারিয়ার জীপে তুলে নেন নেতাকর্মীরা। তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চাটমোহর শহর।
এ সময় সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং এ এডভোকেট মাসুদ খন্দকার সম্মানিত নেতাকর্মীদের সম্মান জানাতে ও বরণ করতে শোভাযাত্রসহ বালুচর মাঠে গমনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। মুহূর্তের মধ্যে সেই শোভাযাত্রা গণযাত্রায় পরিণত হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে হাজার হাজার জাতীয়তাবাদি কর্মী এতে যোগদান করেন এবং শ্লোগান তোলেন – নেতা আছে ! কোন সে নেতা! খালেদা জিয়া। লও লও,লও..সালাম স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া। তারেক রহমান আসবে ফিরে,শহীদ জিয়ার বাংলাদেশে। মাসুদ ভাই ভয় নাই,রাজপথ ছাড়িনাই। মাসুদ ভাই এগিয়ে চলো ,আমরা আছি তোমার সাথে ইত্যাদি। এই বিশাল শোভাযাত্রাটি বালুচর মাঠে পৌঁছিলে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান সেখানকার দর্শকজনতা। পরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সম্মানে শ্লোগান দেন এবং তাদের বরণ ও সংবর্ধিত করেন।
উল্লেখ্য,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং ১৮কোটি মানুষের প্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের একান্ত অনুগত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মাসুদ খন্দকার সম্প্রতি ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত হয়ে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হন। তখনও তার সুস্থতা কামনায় চাটমোহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তিনি এখনো শারীরিকভাবে ফিট নন,তবুও নেতৃবৃন্দের আগমনে মাসুদ খন্দকার তার নিজ এলাকা পাবনা-৩ এ ছুটে আসেন। আর তাকে কাছে পেয়ে স্থানীয় বিএনপির অগণিত নেতাকর্মী আনন্দে উল্লসিত হয়ে পড়েন।।