1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন

ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার : তারেক রহমান

ডিডিএন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২২ সময় দর্শন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ‘ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার’ উল্লেখ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দলমত নির্বিশেষে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’শুক্রবার বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। এতে সারা দেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা অংশ নেন।তারেক রহমান বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি।তিনি বলেন, ‘আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসব উপলক্ষে আমি আপনাদেরকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদে পূজা উদযাপন করুন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিলো-সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা ছিলো না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।’দেশনায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে যা হয়েছে আপনারা তা দেখেছেন। সারাদেশে আইনের শাসন ছিলো না বলেই প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিলো। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়না ঘর একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।’তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নিজ নিজ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেকটি নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি কার্যকরী শক্তিশালী অস্ত্র। যতদিন পর্যন্ত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান অর্থাৎ দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিজের ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। এখন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলছি, সেটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এখানে যারা চক্রান্ত করছে আবারও সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সকলকে নিয়ে রাজনীতি করা। একটা অবিশ্বাস্য বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে একটা ভয়াবহ দানবকে হঠাতে হয়েছে এবং আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। দুঃখজনকভাবে আপনাদেরকে এর ভেতরে ফেলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় এসব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি। ইন্ডিয়ার জার্নালিস্ট এসেছিলো দলে দলে, সবাইকে একটা কথা আমরা বলেছি যে, এই পরিবর্তনের ফলে যেটুকু ঘটেছে সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক, সেটা কোনো সাম্প্রদায়িক নয়। আজকে আবার একই চক্রান্ত শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। দেখুন এগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখবেন না। আজকে সেখানে একইভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে। আসুন আমরা ভবিষ্যতে যেন একটি রেইনবো নেশন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে পারি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই পথে আমরা এগিয়ে যাই।”বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দে’র যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।
ইসকনের চারু চন্দ্র্র দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্তু কুমার কুন্ডু, আবদুল বারী ড্যানি, অর্পনা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, সুশীল বড়ুয়া, জন গোমেজ, মিল্টন বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় এবং হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host