ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সুবর্ণজয়ন্তী’র সঙ্গীতানুষ্ঠানে স্টেজ মাতালেন সিলেটের বাউল সম্রাট উস্তাদ শাহ আব্দুল করিম এর শিষ্য রণেশ ঠাকুর,পাগল হাসান ও দীপু গায়েন। বৃহত্তর সিলেট এর সুনামগঞ্জ জেলার ওই প্রসিদ্ধ শিল্পীরা লোকগীতি ও বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রবিবার(২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে ‘বাউল সন্ধ্যা’র আয়োজন করে প্রশাসন। মাঠ ভর্তি দর্শক গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ চিত্ত ও মুগ্ধভরে উপভোগ করেন এই অনুষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: বাকি বিল্লাহ,ভাঙ্গুড়া পৌসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও’র সহধর্মিণী,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বিপাশা হোসাইন,উপজেলা ভাইস রেচয়ারম্যান গোলাম হাফিজ রনজু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভিন পাখি,ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু.ফয়সাল বিন আহসান,প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব-উল-আলম,উপজেলা কৃষি অফিসার মো: এনামুল হক ও অন্যান্য সরকারি কর্মকতাগণ,অফিসারস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমাজ সেবা অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম, রাজনীতিক,প্রেসক্লাবের সি:সহ-সভাপতি প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন,শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি এড.আব্দুল জাব্বার ও শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান স্ঞ্চালনা করেন শিল্পকলা একাডেমির মুখপাত্র মলয় কুমার দেব।
ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,বাংলাদেশি কিংবদন্তদী সঙ্গীত শিল্পী,সুরকার,গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক উস্তাদ শাহ্ আব্দুল করিম বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁকে ‘‘বাউল স¤্রাট’’ হিসাবে সম্বোধন করা হয়। বাংলা সঙ্গীতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন।
তাঁরই সুযোগ্য শিষ্য সুনামগ্েঞ্জর বিখ্যাত বাউল সাধক ও সঙ্গীতজ্ঞ রণেশ ঠাকুর এবং তাঁর দু’জন অনুসারী পাগল হাসান ও দীপু গায়েন উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে এখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।