দাউদকান্দিতে পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেয়ে পুরো শরীর ঝলসে যাওয়ার মতো হয়েছে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দীর নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন শিশুটির চাচা ফিরোজ শিকদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিটেস্বর ইউনিয়নের বীরবাগগোয়ালী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী সাহারা আক্তার তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু আবরার হোসেন অসুস্থ হলে গত শনিবার স্থানীয় নৈয়ার বাজারের নন্দী ফার্মেসিতে নিয়ে যান। ফার্মেসির মালিক পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দীর দেওয়া শনিবারের ওষুধে কাজ না করায় পরদিন রবিবার আবার সেখানে নিয়ে যান। রবিবারের দেওয়া ওষুধ খেয়ে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে যায়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকার মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মা সাহারা আক্তার বলেন, কোনো মানুষ আগুনে পুড়লে যেমন হয়, দীপক চন্দ্র নন্দী ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেয়ে আমার বাচ্চার অবস্থা এখন তেমন হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন আমার বাচ্চা সারাদিনে একবারও চোখ খোলে না।
পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বলেন, গরমে শিশুটির শরীরে ছোট ছোট গোটার মতো হয়েছে। প্রথম দিনের ওষুধে ভালো না হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলাম।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো পল্লী চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখতে পারে না। ওষুধের পাওয়ারে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে গেছে।