ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ
অবশেষে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সেই ভুমিহীন আলতাবকে দোকান ঘর করে দিলে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল। পৌরসদরের শরৎনগর বাজারের পশু হাট সংলগ্ন বেইলী ব্রীজ রোডে পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে তাকে এই দোকান করে দেন। এর আগে পঙ্গু আলতাবকে পশু হাটের পাশে অস্থায়ী একটি ঝুপড়ির নিচে চা ও পানের দোকান ছিল। এখন তিনি পৌর সদরের একটি স্থায়ী দোকান মালিক। প্রতিদিন ৪ শ তে ৫শ টাকা করে বিক্রিয় হয় তার দোকানে এমন তথ্য জানান তিনি।
জানা গেছে, সত্য চন্দ্র হাওলাদার। পিতা প্রিয়নাথ চন্দ্র হওলাদার জন্মভুমি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার নয়াকান্দিবাজিতপুর গ্রামে। তিনি ৮ বছর বয়সে অসুস্থ্য হয়ে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে দেশে চিকিৎসা নিয়ে আশানুরুপ ফল না পেয়ে অর্থকড়ি সংগ্রহ করে বড় ভাইয়ের সাথে ভারতে গিয়ে উন্নত চিকিৎসাও নিয়েছেন র্দীঘদিন। তবে চিকৎসায় তেমন কাজ হয়নি । কিন্তু ভরতে হঠাৎ তার সাথে থাকা বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে তার জীবনে নেমে আসে অবর্ননীয় দুঃখ-কষ্ট। প্রায় ১যুগ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরেছেন নিজ জন্মভুমিতে। নিজ বাড়িতে ফিরে আসলেও পিতার জমিজমা বাড়িঘর সব কিছু থেকে অধিকার বঞ্চিত সত্যচন্দ্র হওয়লাদারের জীবনের মোড় ঘুরে স্বধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে হয়েছেন মো. আলতাব হোসেন।
প্রথম দিকে ভিক্ষাবৃত্তি করে তার জীবন চলালেও পরবর্তীতে মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল এর সহযোগিতায় সরকারি ভাবে অনুদান পেয়ে শরৎনগর বাজরের পশুর হাটে ওই ছোট্ট অস্থায়ী দোকান করতে পেরেছিলেন।
এর পরে তিনিই আবার আলতাবকে পৌর অওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পাশে স্থায়ী দোকান বরাদ্দ দেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রয় হয়। স্থায়ী দোকান পেয়ে বেশ ভালো আছেন বলে জানান আলতাব।