অনলাইন ডেস্কঃ
শেষ চার ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ও আসিফ আলী। বল করতে আসা টিম সাউদিকে পরপর দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন আসিফ। পরের ওভারে ইশ সোধি থেকে ১৫ রান আদায় করে নেন মালিক। আর তাতেই ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। দুই ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ৮ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন এই যুগল। টানা দুই জয়ে দুই নম্বর গ্রুপের শীর্ষস্থানে পাকিস্তান।
আজ মঙ্গলবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি পাঁচ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে এসে পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১৩৪ রানে থামেন কেন উইলিয়ামসনরা। তাদের দেওয়া এই লক্ষ্য পেরোতে অবশ্য পাকিস্তানকে ইংনিসের ১৯তম ওভার পর্যন্ত লড়তে হয়েছিল। ব্যাট হাতে তিন ছক্কা ও এক চারে ১২ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আসিফ। তার সঙ্গে থাকা মালিক করেন ২০ বলে ২৬ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় খুবই সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৯ রানের এই জুটি ভেঙে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাউদি। এরপর ধীরে ধীরে রান আর বলে চাপ সৃষ্টি হয় পাকিস্তানের ইনিংসে। তিনে এসে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন ফখর জামান। চারে আসা মোহম্মদ হাফিজকে জ্বলে উঠার পরপরই স্যান্টনারের বলে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান কনওয়ে।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি ওপেনার রিজওয়ানও। দলের বিপদের সময় ৩৩ বলে ৩৪ করে ইশ সোধির শিকার হন তিনি। এরপর ক্রিজে থাকা অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন আসিফ আলী। ৮৭ রানে ইমাদ ওয়াসিমের বিদায়ের পর থেকে দারুণভাবে এই জুটি পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যায়। চাপে পড়লেও আসিফ-মালিকের ব্যাটে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল। দারুণভাবে ব্যাট করতে ছিলেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ষষ্ঠ ওভারে এসে এই ওপেনারকে ফেরান রউফ। ২০ বলে ১৭ রান করেন তিনি। দলীয় ৫৪ রানে মিচেলকে ফিরিয়ে রানের গতি চেপে ধরেন ইমাদ ওয়াসিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে এক রানে ফেরেন জেমস নিশাম।
চতুর্থ উইকেটের জুটিতে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ডেভন কনওয়ের ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন হাসান আলী। কিছুটা সামনে এসে খেলতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন।নিজের বলে নিজেই ফিল্ডিং করে দ্রুত থ্রোতে রান আউটে কিউই অধিনায়ককে ফেরান হাসান। এরপর আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেনি। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত করেছে পাকিস্তানি পেসাররা। একাই তিন উইকেট নেন রউফ, যা পুরো ম্যাচে তার চার উইকেট পূর্ণ হয়।