অনলাইন ডেস্কঃ
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগী দেশটির সঙ্গে এমন লজ্জাজনক হারের পর ক্রিকেট পাড়ায় নড়াচড়া দিয়ে উঠে। কোচিং স্টাফ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে বসে বোর্ড পরিচালকগণ। সেখানে দলকে উজ্জীবিত রাখার দায়িত্ব আসে সাকিব আল হাসানের কাঁধে। দায়িত্ব ঠিকভাবে পালনও করেন তিনি। পরপর দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে সাকিবের রানে ফেরা বাড়তি স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। বল হাতে তিনি বরাবরই দুর্দান্ত। চলতি বিশ্বকাপটা তাই সাকিবের জন্য অন্যরকমই ভাবা হচ্ছে। সাকিবও এর ব্যতিক্রম ভাবেন না। এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য প্রথম পর্বে বাংলাদেশের জয়ের দুই ম্যাচে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত করে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও।
প্রথম পর্বে ব্যাট হাতে তিন ম্যাচে করেছেন ৯৮ রান। বল হাতে এই তিন ম্যাচে ৫৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। এক কথায় অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন তিনি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৪৬ রান। যার কারণে নির্বাচিত হন ম্যাচ সেরার।
এ সময় পুরস্কার নিতে এসে সাকিব বলেন, ‘প্রতিটি খেলার মধ্য দিয়েই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। অবশ্যই প্রথম ম্যাচটি দুর্ভাগ্য ছিল, কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একটি জয় পেলেই দলের উন্নতি হয়। এখন প্রেশার অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং আমরা আরও ভালোভাবে খেলতে পারবো।’
‘এটা সহজ নয় ফর্মে ফিরে আসাটা, কিন্তু ভাগ্যবশত আমি উপরে খেলে আরও বেশি সুযোগ পেয়েছি ভালো করার। আমি কিছুটা ক্লান্ত, গত পাঁচ ছয় মাস ধরে টানা ক্রিকেটের ভেতর আছি, আমার জন্য এটা অনেক লম্বা একটা সেশন। তবে আমি টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে আশাবাদী,’যোগ করেন তিনি।