অনলাইন ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে ভোজ্যতেলের দাম। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুদ পরিস্থিতি,
আমদানি ও দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবের অনুমোদনের পর এই মূল্য চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম (প্রতি লিটার) আমরা ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছিল, তাই তারা ৮-১০ দিনের মধ্যে মূল্য বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী প্রতি ১৫ দিন অন্তর ট্যারিফ কমিশন অ্যানালাইসিস করে সুপারিশ করবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রিফাইনারিদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করি। পরে রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন তাদের অফিসিয়াল প্যাডে এটা ডিক্লেয়ার করে। গত মাসে ওনারা (তেল উৎপাদনকারী) যে আবেদন করেছিলেন, গত ৪ অক্টোবর ট্যারিফ কমিশন চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে আমাদের রিপোর্ট দেয়। পেঁয়াজের বাজার অস্থির ছিল। গত এক সপ্তাহে আমরা স্পেশাল ফোকাস দিয়ে, পেঁয়াজের বাজারটা মোটামুটি একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, ওনাদের (রিফাইনারি কোম্পানি) প্রস্তাব ছিল বোতলজাত প্রতি লিটার সায়াবিন তেল ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা করার সুপারিশ করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাভারেজ রিপোর্ট। বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা- যেটার আগে দাম ছিল ১৫৩ টাকা। সভায় খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা, আর পাম তেল প্রতি লিটার ১১৯ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা ও পাম তেল প্রতি লিটার ১১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এতে ভারতের ওপর পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরতা কমবে। আমি ধারণা করছি, পেঁয়াজের বাজার আর অস্থির হবে না। পেঁয়াজে আমরা স্বস্তি দিতে পারব। অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে- চিনির রেগুলেটরি ডিউটি কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে তা অ্যাসেসমেন্ট করে মানুষকে একটু জানিয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।