রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ওই যন্ত্রটির নাম ‘ডিটেক্টর বায়ো’। পকেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মতো সাইজ নয়, বরং একটি রেফ্রিজারেটরের মতো বিশাল আকারের ওই যন্ত্রটি তৈরির কাজে যুক্ত দলে রয়েছেন গামালিয়া ইনস্টিটিউটের গবেষকরাও। যাঁরা করোনার প্রথম প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরির কাজও করে চলেছেন।
ইতিমধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ জনসমক্ষেও এনেছে রাশিয়া। পুতিন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ছাড়া বাতাসবাহিত যে কোনও ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন বা ভাইরাস সহজেই শনাক্ত করে তা বিশ্লেষণে সক্ষম এই যন্ত্র। মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিয়োলজি অ্য়ান্ড মাইক্রোবায়োলজির গবেষকদের দাবি, বাতাস থেকে নমুনা সংগ্রহের ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ ভাইরাসের উৎস বলে দিতে পারে। ফ্রিজের মতো দেখতে এই যন্ত্রে রয়েছে কেকের মতো বিভিন্ন স্তর। প্রতিটি স্তরই যেন আস্ত এক-একটি ল্যাবরেটরি। তা নিজস্ব পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকে। দু’টি প্রক্রিয়ার পর তা বাতাসে ভেসে বেড়ানো বিপদ বিশ্লেষণ করতে পারে।
করোনা আবহে রাশিয়ার চমক অব্যাহত থাকলেও ‘ডিটেক্টর বায়ো’ প্রথম যন্ত্র নয়, যা এই ভাইরাস চিনিয়ে দেওয়ার দাবি করল। তবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গবেষণার পর এই যন্ত্রটি যে করোনাকে চিহ্নিত করতে অন্যতম, সে দাবি করেছেন গবেষকেরা। সেই সঙ্গে গবেষকদের আরও দাবি, মেট্রো, রেলওয়ে বা বিমানবন্দরের মতো জায়গায় এর কার্যকরিতা প্রমাণিত হবে। আনন্দ বাজার