1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

বাতাসে করোনাভাইরাস আছে কি? জানাবে রাশিয়ার যন্ত্র!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৪৭ সময় দর্শন

বিশ্বে প্রথম করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের খবর দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল রাশিয়া। তার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ফের এক বার চমক ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের। এ বার রাশিয়ার দাবি, বাতাসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব জানিয়ে দিতে পারে, এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছে তারা। এমনকি, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে করোনার উৎসও বলে দিতে সক্ষম ওই যন্ত্র।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ওই যন্ত্রটির নাম ‘ডিটেক্টর বায়ো’। পকেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মতো সাইজ নয়, বরং একটি রেফ্রিজারেটরের মতো বিশাল আকারের ওই যন্ত্রটি তৈরির কাজে যুক্ত দলে রয়েছেন গামালিয়া ইনস্টিটিউটের গবেষকরাও। যাঁরা করোনার প্রথম প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরির কাজও করে চলেছেন।

ইতিমধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ জনসমক্ষেও এনেছে রাশিয়া। পুতিন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ছাড়া বাতাসবাহিত যে কোনও ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন বা ভাইরাস সহজেই শনাক্ত করে তা বিশ্লেষণে সক্ষম এই যন্ত্র। মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিয়োলজি অ্য়ান্ড মাইক্রোবায়োলজির গবেষকদের দাবি, বাতাস থেকে নমুনা সংগ্রহের ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ ভাইরাসের উৎস বলে দিতে পারে। ফ্রিজের মতো দেখতে এই যন্ত্রে রয়েছে কেকের মতো বিভিন্ন স্তর। প্রতিটি স্তরই যেন আস্ত এক-একটি ল্যাবরেটরি। তা নিজস্ব পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকে। দু’টি প্রক্রিয়ার পর তা বাতাসে ভেসে বেড়ানো বিপদ বিশ্লেষণ করতে পারে।

এটি কী ভাবে কাজ করে, তা-ও জানিয়েছেন গবেষকেরা। প্রথম পর্বে বাতাস থেকে নমুনা সংগ্রহ করার ১০-১৫ সেকেন্ডেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিন সম্পর্কে সচেতন করে দেয় এটি। এই পর্বে অবশ্য তা কী ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া, তা জানাতে পারে না যন্ত্রটি। তবে কয়েক সেকেন্ড চলার পর আরও বিস্তারিত নমুনা সংগ্রহ করে তা। এর পর তা বিশ্লেষণ করতে থাকে, এই পর্বটি এক থেকে দু’ঘণ্টা চলতে পারে।

করোনা আবহে রাশিয়ার চমক অব্যাহত থাকলেও ‘ডিটেক্টর বায়ো’ প্রথম যন্ত্র নয়, যা এই ভাইরাস চিনিয়ে দেওয়ার দাবি করল। তবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গবেষণার পর এই যন্ত্রটি যে করোনাকে চিহ্নিত করতে অন্যতম, সে দাবি করেছেন গবেষকেরা। সেই সঙ্গে গবেষকদের আরও দাবি, মেট্রো, রেলওয়ে বা বিমানবন্দরের মতো জায়গায় এর কার্যকরিতা প্রমাণিত হবে। আনন্দ বাজার

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host