সিরাজুল ইসলাম আপন,ভাঙ্গুড়া(পাবনা): পিতার স্বপ্ন ছিল আদরের সন্তান পড়া-লেখা করে বড় হয়ে একজন মস্ত বড় সরকারি অফিসার হবে। তাই পড়া-লেখার জন্য ছেলেকে ভর্তি করে ছিলেন স্থানীয় এক স্কুলে।কিন্তু না,দারিদ্রতার কারণে পিতার সে স্বপ্ন পূরণ হলোনা। স্কুলের গন্ডি না পেরুতেই শুরু হয় জীবন-জীবিকার যুদ্ধ।
সংসারে অভাব-অনাটনের কারণে ২য় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আর স্কুলে যাওয়া হলোনা জেলহাজ হোসেনের। বয়স তার ৩০ বছর। সে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের উত্তর মেন্দা গ্রামের দরিদ্র ছাইদুল ইসলামের ছেলে।
এলাকার সবাই তাকে এখন রসওলা জেলহাজ হিসেবে চিনে।জীবন-জীবিকার তাগিদে যিনি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে একটি ভ্যানের ওপর করে বিভিন্ন গ্রামে হাট-বাজারে আখের রস বিক্রি করে ৬ জনের সংসার কোনমতে চালাচ্ছে জেলহাজ। জেলহাজ হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, তার জীবন যুদ্ধের গল্প। তিনি বলেন,রস বিক্রেতা হওয়ার কথা ছিল না তার। পড়া-লেখা শিখে পিতার লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি এখন আখের রস বিক্রেতা! অবশ্য এ জন্য তার কোন দুঃখ নেই।তিনি বলেন ,“আল্লাহ আমাকে অনেক ভাল রেখেছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রস বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে তার সংসার চলে কোন মত।আমার পিতার ২ মেয়ে আর ছেলে আমি একাই।বড় বোনকে বিয়ে দিয়েছি ছোট বোনটি পড়া-লেখা করছে আমি ২বছর যাবত বিয়ে করেছি।সবাইকে নিয়ে আল্লাহ্ দিন পার করে দিচ্ছে।তিনি আরও বলেন আখের রস মানব দেহের জন্য খুবি উপকারি আর দামও কম ১ গøাস ১০ টাকা তাই এর চাহিদা আছে।ভাঙ্গুড়া থেকে অষ্টমনিষা বাজার পর্যন্ত প্রতিদিন রস বিক্রি করে আসছি শরীর ভাল থাকলে এ পেশাই আঁকড়ে ধরে থাকবেন বলেও জানান তিনি।