শেখ হাসিনা সরকারের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এদেশে সরকারের জনভিত্তি ঠিকই আছে। তবে গত একযুগ ধরে বিএনপির নানান আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে জনবিচ্ছিন্ন। আসলে বিএনপির রাজনীতির শেকড় বাংলাদেশের মাটির গভীরে নয়, অন্য কোথাও। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। চক্রান্তের পথে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ, ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো আলেম-ওলামাদের তো নয়, এমনকি বিএনপির কোনো নেতাদেরও গ্রেফতার করেনি সরকার। যারা আগুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও দেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। এখানে কল্পকাহিনী তৈরির কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, সন্ত্রাস আড়াল করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে বিএনপিই বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে মনগড়া কল্পকাহিনী তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, তথাকথিত ৭ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট ঘটিয়ে চক্রান্তের পথে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই, তাই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তার দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বে প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনও বাংলাদেশ সময়মতো সংগ্রহ করবে, ইনশাআল্লাহ। ভ্যাকসিন সংগ্রহে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মনের কথা হচ্ছে বাংলাদেশ যেন ভ্যাকসিন না পায়। তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বক্তব্য এবং কাজে সিদ্ধহস্ত, যা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। করোনার এ সংকটকালে বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলোও যখন সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে তখন ভ্যাকসিন, আইসিইউ, অক্সিজেন ইত্যাদি নিয়ে সংকট তৈরি না করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অধিকতর মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। ভ্যাকসিন নিলে অ্যান্টিবডি হয়, তাই মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না- এসব কথা যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দলমত নির্বিশেষে সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ মনোযোগী হই, ঘরে ঘরে সমালোচনার পরিবর্তে সচেতনতা দুর্গ গড়ে তুলি। এ সময় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করারও আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়কগুলোতেও গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন।