বিভিন্ন রকম খেলনা গাড়ি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১০ বছর বয়সী শিশুটি। তার নাম ছামিউর রহমান। পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ছামিউর প্লাস্টিকের বোতল,পুরাতন ফোনের ব্যাটারি,পুরনো মটর,বৈদ্যুতিক তার,কাগজ,বতলের মুখ দিয়ে সে নানা ধরনের খেলনা গাড়ি বানিয়েছে। কৌতুহল নিয়ে সেই খেলনার কারুকাজ দেখতে আসছে আশেপাশের মানুষ। পরিবারের ভাষ্য , ছোট থেকেই ছামিউরের গাড়ি ও বৈদ্যুতিক জিনিস পত্রের প্রতি তার আলাদা ঝোক রয়েছে। আমরা বিভিন্ন মেলায় গেলে ছেলের বায়না ছিলো গাড়ি কেনা। গাড়ি কিনে বাড়িতে আনার পর সেগুলিকে ভেঙ্গে দেখতো ভিতরে কী আছে । তখন আমরা প্রচন্ড রেগে যেতাম। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহন করে ছেলে এখন নিজের হাতেই গাড়ি বানাচ্ছে। এজন্য খুব ভালো লাগছে। আমরা চাই আমাদের ছেলে বড় হয়ে এমন কিছু তৈরি করুক যা আমাদের দেশের কাজে আসবে। ছামিউরের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশা ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে। বেতুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। তার বাবা আ:কাদের পেশায় ব্যবসায়ী মা মোছা: রেহানা পারভিন গৃহিণী। নিজের তৈরী এমন খেলনা বিষয়ে ছামিউর বলেন, আমার এই গাড়ি বানাতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগে। লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ থাকায় এই গাড়ি বানাতে বেশি ঝুঁকেছিলাম। আমি খেলনা ট্রাক্টর ,খেলনা গাড়ি,মরিচ কাটা মেশিন,কাগজ কাটা মেশিনসহ আরও অনেক কিছু তৈরি করেছি। আমার গাড়ি তৈরি করতে যে উপকরণ লাগে বাড়িতে বা বাড়ির আশে পাশেই পাওয়া যায়। বাজার থেকে শুধু আমার মটর আর পাখা কিনে আনতে হয়। ছামিউর রহমান বলে, আমি এমন কিছু তৈরি করতে চাই যা দেশের মানুষের উপকারে আসে। ছামিউর বড় হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। বেতুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, নিজের বুদ্ধি দিয়ে এভাবে গাড়ি তৈরি করা সত্যিই প্রসংসার য্যেগ্য। তার ভবিষ্যতে আরও সাফল্য আসুক আমি এই কামনা করি।