২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের রপ্তানি আয় ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালার খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২৫ শে জানুয়ারি (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বর্তমানে এ শিল্পের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার। কর্মসংস্থান ৩০ হাজার। ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মসংস্থান এক লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যে এ নীতিমালা করা হয়েছে। ‘অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল বাড়ানো, জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উৎপাদন বাড়ানো, সংযোগ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান বাড়ানো, আমদানি কমিয়ে দেশীয় জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানি সক্ষমতা অর্জন এই নীতিমালার উদ্দেশ্য।’ মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয় পাঁচটি বিষয় নিয়ে। অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড নিবন্ধন ও পরিচালনা বিল ২০২১ অনুমোদন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই আইনে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেয়া হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। এই আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। ‘কোনো ট্যুর গাইড যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে, তাহলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধের বিচার করা যাবে।
ফলে পর্যটকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাইডদের নিবন্ধন দেয়ার জন্য সরকার গেজেট করে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো গাইড ট্যুর পরিচালনা করতে পারবে না।’ শিল্পকারখানার দুর্ঘটনা মোকাবেলায় ১৯২৩ সালের বয়লার আইনকে যুগোপযোগী করে বয়লার আইন ২০২১ পাসের জন্য এটির খসড়া নিয়েও আলোচনা হয় মন্ত্রিসভায়। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্পমন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী এই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। এতে ৩৬টি ধারা আছে। প্রধান বয়লার পরিদর্শক নিয়োগ ও পরিদর্শন কাজকে গতিশীল করতে এই আইনের খসড়ায় বিভিন্ন নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। ‘মন্ত্রিপরিষদ সভায় সবগুলো সরকারি করপোরেশন একটি কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকতে পারে কি না সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। বর্তমানে ১৯টি মন্ত্রণালয়ের ৫০টি করপোরেশন আছে।
অর্থমন্ত্রী এর প্রধান হবেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হবে এই কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা হবে এ ধরনের কর্তৃপক্ষর দরকার আছে কিনা।’ ২০০৯ সালের পর থেকে দেয়া পেনশন কার্যক্রম সহজীকরণ করার বিষয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয় বলে জানান সচিব আনোয়ারুল। তিনি বলেন, ‘মৃত পেনশনভোগীদের পেনশন পরিশোধ কীভাবে করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের প্রায় ৫০ হাজার পেনশনভোগী মারা গেছেন।’