জামালপুরে ইউপি সদস্যসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার বেলাল (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও হুরমুজ আলী (৩৭) নামে আরেক যুবকের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেলালের ৫০ হাজার টাকা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হুরমুজ আলীর আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাৎ জাহান ঝুনু এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার আরো ১২ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষেরি কৌঁসুলি আবুল কাশেম জানান, ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নলসন্ধ্যা গ্রামের বাসিন্দা মো. ফজলুর রহমান (৫০) ও তার সঙ্গী ইউসুফ (৫২) যমুনা নদীর বাসুরিয়া খেয়াঘাট থেকে কোরবান আলী তালুকদারের (৬০) ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
তারা চর নলসন্ধ্যা খেয়াঘাটের কাছে পৌঁছালে পূর্ব শক্রতার জেরে জলদস্যু আব্দুল হাই কয়েকজন সহযোগি নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। একপর্যায়ে নৌকাসহ তাদের অপহরণ করে যমুনা নদীর গভীরে নিয়ে যায়। ঘটনার তিনদিন পর ইউসুফ ও পাঁচদিন পরে ফজলুর রহমানের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হলেও কোরবান আলী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ব্যাপারে নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন (৪৫) বাদি হয়ে আব্দুল হাইকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই চার্জশীট দাখিল করে সিআইডি। পরবর্তীতে মামলার সকল আসামিকে আটক করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আবুল কাশেম আরও জানান, মামলায় ১১ জন সাক্ষীর আদালতে সাক্ষ্য দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত সব আসামি উপস্থিত ছিলেন।