সোয়েটারের সঙ্গে শাড়ি পরে দিনকয়েক আগেই সমাজমাধ্যমে একটি ছবি দিয়েছিলেন স্বরা। বিবরণে লিখেছিলেন, ‘শীতকাল। তাই সেটাই পরব যা আরামদায়ক’। স্বরার সেই ছবিকেই কঙ্গনার একটি ছবির সঙ্গে তুলনা করে স্বরার ফ্যাশনবোধ নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় ওই পোস্টে। যা শেয়ার করেন কঙ্গনা রানাউত নিজে। স্বরাকে ট্যাগ করে জানতে চান, ‘এরা কি ঠিক বলছে স্বরা?’ স্বরা
অবশ্য তার কোনও জবাব দেননি। তাই তাঁকে উসকে দিতে আবারও একটি টুইট করেন কঙ্গনা। লেখেন, ‘ঘটনাহীন একটা একঘেয়ে দিনে স্বরাকে তো একটু রাগানোই যায়, তাই না’!
এরপর জবাব আসে। স্বরা অত্যন্ত ভদ্র ভাবে লেখেন, ‘তোমার একঘেয়েমি কাটাতে পারলেই আমি খুশি কঙ্গনা। তুমি তো জানো, আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি!’ ব্যাস এইটুকুই। আর তাতেই আর কিছু না বলতে পেরে চুপ করে যান কঙ্গনা।
স্বরার বুদ্ধিদীপ্ত জবাবের জন্য তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নেটাগরিকরা। অনেকেই বলেন, অভদ্রতার জবাব দিতে যে নিজের মান নামাতে হয় না, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বরা। ‘মান’ বলতে আসলে কাকে বোঝায় সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এ দিকে, চূড়ান্ত সমালোচনার শিকার হন কঙ্গনা। একজন অভিনেত্রী হয়ে, সহকর্মীকে এভাবে প্রকাশ্যে আক্রমণ করার সমালোচনা করে নেটাগরিকরা লেখেন, মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদতে নিজেই নিম্নমানের পরিচয় দিয়েছেন কঙ্গনা। মজা করতে গিয়ে উচিত সাজা পেয়েছেন তিনি।