সংবাদ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি ২৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিবেন। এর মধ্যে মাধ্যমিকের ১৪ জন এবং প্রাথমিক স্তরের ৯ জন শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বই উৎসব অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টার পরে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। বিআইসিসিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছরের মতোই এবারও নতুন বছরের বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে। পরদিন থেকে ১২ দিনব্যাপী সারাদেশের স্কুলগুলোতে বই বিতরণ করা হবে।
এদিকে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিআইসিসি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বই বিতরণ নিয়ে নতুন নির্দেশনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
ভার্চুয়ালি আয়োজিত সংবাদ সস্মেলনে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শ্রেণি ভাগ করে ১২ দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
এরপর বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তুক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর পাঠ্যপুস্তক ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণ করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য তিনদিন করে সময় দেয়া হবে। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে সপ্তাহে তিনদিন করে মোট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে।
এছাড়া প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে এবার অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।