1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

স্বামীকে মেরেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭১৩ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক: চিত্রনায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁরই স্বামী হিশাম চিশতি। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলাটিতে তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এবার বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেল হিশাম চিশতিকে মারধরের। হিশাম চিশতি জানিয়েছেন, তিনি আগেই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন, তার জের ধরেই হামলার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। হিশাম চান, তাঁর এ ঘটনা থেকে লোকে শিক্ষা নিক। এ বিষয়ে জানতে তমা মির্জার ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

অন্যদিকে মামলার খবর গণমাধ্যমে আসার পর জানা গেছে, তমা মির্জাও স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যৌতুক দাবি, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা। দুটি মামলাই হয়েছে রাজধানীর বাড্ডা থানায়।

এদিকে হিশাম চিশতিকে মারধরের বেশ কিছু ছবি এসেছে কালের কণ্ঠ অনলাইনের হাতে। যেখানে দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ নিয়ে রয়েছেন তিনি। শরীরে মারধরের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। এসব তমা মির্জার নির্যাতনের চিত্র বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত। বিবাদের কারণ হিসেবে হিশাম জানান, ২০১৮ সালে তমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তমার আগেও দুবার বিয়ে হয়েছিল, যা তাঁরা গোপন করেছেন। এ ছাড়া তমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতাও করে আসছিলেন হিশাম।

হিশাম করোনার সময় অসুস্থ মাকে দেখতে কানাডা থেকে দেশে এসেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে স্ত্রী তমাকে নিয়ে দুবাইয়ে হানিমুনেও যান। হানিমুন থেকে ফেরার পর নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে তীব্র বিবাদ শুরু হয়। হিশাম জানান, তমার আগের দুই বিয়ের খবর জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবু সংসার টিকিয়ে রাখতে সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন।

হিশাম চিশতি বলেন, তমাদের একটি স্বর্ণের দোকানের শেয়ার ছিল। আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নিয়ে তাঁরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে আয় করে তাঁরা সংসার চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

হিশাম জানান, শুরুতে আপত্তি করলেও তমার চাপে তাঁর পরিবারকে ওই টাকা দিতে তিনি বাধ্য হন। হিশাম বলেন, সেই টাকা দেওয়ার পরও তাঁদের চাহিদা কমেনি। প্রতি মাসে সংসার খরচ বাবদ তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা নিতে থাকেন। এর বাইরে তমার ভাইয়ের খরচ, বাবা-মায়ের চিকিৎসা, বাসার পোষা কুকুরের খাবার খরচসহ নানা খাতে, নানা অজুহাতে তাঁরা টাকা চাইতেই থাকেন। বাংলাদেশে আসার পর বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন তমা। স্ত্রী হিসেবে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে রাজি হচ্ছিলেন না।

হিশাম জানান, এসব নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় তীব্র টানাপড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের টাকার চাহিদাও বাড়তে থাকে। এ সময় হিশাম ধরে নেন, তাঁর ধার দেওয়া ২০ লাখ টাকা ব্যবসায় খাটানো হয়নি; বরং বিলাসিতায় ওড়ানো হয়েছে। তিনি তমার কাছে সেই টাকার হিসাব চান এবং তমার পরিবারকে জানান, আর নয়। তমাকে তিনি কানাডা নিয়ে যাবেন এবং সংসার খরচের জন্য মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বাইরে কিছুই দেবেন না। এতেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তাঁকে মারধর করেন বলে জানান হিশাম চিশতি।

এদিকে তমা মির্জা এসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলছেন, আমার আয়ের টাকা কেন আমি আমার পরিবারকে দিই, এটা নিয়ে নানা কথা শুনতে হতো আমাকে। শুধু কি তা-ই, আমাকে কাজ করতেও বাধা দেয় সে। আমার কাছ থেকে টাকা নিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে। তার কাছ থেকে আমার পরিবার টাকা ধার নেবে কেন! কানাডা থেকে দেশে এলে সে তো আমার টাকায় চলে। আমি টাকা না দিতে চাইলে টর্চার করে। তার টর্চারের কারণেই একটা সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে আমি বাবার বাসায় চলে আসি।

২০১০ সালে এম‌বি মা‌নিক প‌রিচা‌লিত ‘বলো না তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তমা মির্জার। ‘নদীজন’ ছবির পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চল‌চ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন। গত বছর কানাডাপ্রবাসী হিশাম চিশতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গত বছর একটা লম্বা সময় কানাডায় কা‌টিয়ে দেশে ফিরেছেন তমা মির্জা। বর্তমানে দেশ টি‌ভিতে ‘তমার প্রিয়তমা’ নামে এক‌টি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host