1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

সন্তান লাভের আশায় গাছের নিচে আঁচল বিছিয়ে বসেন তারা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪২৮ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশে ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের অন্ধবিশ্বাসের বিষয়টি নতুন নয়। বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় বিভিন্ন আবিষ্কার আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার

এই অন্ধবিশ্বাস কমাতে সহায়তা করলেও এখনও গ্রাম বাংলায় রয়েছে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের ব্যাপক প্রচলন। তেমনি এক অন্ধবিশ্বাস হলো আঁচল বিছিয়ে সন্তান লাভের আশায় ভিখ!

ভিখ মানে ভিক্ষা। ভক্তদের বিশ্বাস নিঃসন্তান বন্ধ্যা মহিলারা আশ্রমের অক্ষয় তলা নামক স্থানে বটগাছের নিচে সদ্যস্নান শেষে ভেজা কাপড়ে বসে আঁচল বিছিয়ে সন্তান লাভের জন্য ভিখ মাগবেন।

তাদের বিশ্বাস, যদি গাছের ফল বা পাতা আঁচলের ওপর পড়ে তাহলে নিঃসন্তান নারী সন্তান লাভ করবে। নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোঁসাইজীর আশ্রমে এই দৃশ্য চলছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই বটগাছের নিচে চারজন নারী ভক্তি ভরে চাদর বিছিয়ে গাছ থেকে পাতা পড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। আর তাদের কর্মকাণ্ড পেছনে ও পাশ থেকে দেখছেন অনেক নারী-পুরুষ। আশ্রমের এক নারী বৈষ্ণব তাদের দেখভাল করছেন।

প্রতিবছর দুদিনব্যাপী বাৎসরিক অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এই দুদিনে আগত ভক্তদের কলাপাতায় করে প্রসাদস্বরূপ খিচুড়ি খাওয়ায় আশ্রম কর্তৃপক্ষ। আর আগতরা ভক্তি ভরে আশ্রমের দান বাক্সে তাদের মানতের টাকা দিয়ে যায়।

আশ্রম কমিটির সভাপতি শ্রী রঞ্জন কুমার ওরফে সঞ্জয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে এ ব্যাপারে নাটোর সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান জানান, এভাবে সন্তান অসম্ভব। এমন প্রার্থনা হচ্ছে কুসংস্কার। আর সেটাই গ্রামের কিছু মানুষের অন্ধবিশ্বাস। বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এর কোনও ভিত্তি নেই।

বিজ্ঞান সচেতন মহল বলেছেন, নারী-পুরুষের দৈহিক সম্পর্ক ছাড়া কারও ফু, মন্ত্র, গাছের পাতা, ফল এগুলোর দ্বারা সন্তান উৎপাদন হয় না। আবার শারীরিক নানা কারণে অনেক দম্পতির সন্তান নাও হতে পারে।

এর কারণ হতে পারে স্বামী বা স্ত্রী যে কোনও একজন বা উভয়েরই শারীরিক অসুস্থতা, ক্রোমোজমের গঠনে কোনও সমস্যা, দুর্বলতা বা অন্য কোনও কিছু। এজন্য ফকির, সাধু, দরবেশদের পিছে না ঘুরে তাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

তবে গ্রামের গরিব মানুষের অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে না গিয়ে প্রার্থনা ও তাবিজ কবজ বা অলৌকিকতার ওপরে নির্ভর করতে চায়। অজ্ঞতা, অশিক্ষা এবং সস্তায় সমস্যার সমাধান পেতে চাওয়ার কারণে তারা এসব তথাকথিত পীর, ফকির, সাধু, সন্নাসী, কবিরাজ ইত্যাদির কবলে পড়ে এবং সর্বস্বান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অনেক নারী এসব বিশ্বাস করতে গিয়ে শারীরিক বা মানসিক নিপীড়ন এমনকি ধর্ষণের মতো ঘটনারও শিকার হন। এরপর সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে তা চেপে যান। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আধুনিক যুগে প্রতারণার শামিল। এগুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host