নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রামের আখ্যান পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ভাস্কর্য তৈরি করছে সরকার। এবার সেটি স্থাপন করা হচ্ছে রাজধানীর দোলাইরপাড়ে। নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের বেদী তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রসেওয়ে প্রকল্পের আওতায় চীনে নির্মাণ হচ্ছে ভাস্কর্যটি। এ কাজের তত্ত্বাবধান করছে সেনাবাহিনী। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক আখ্যান তুলে ধরতে ঐতিহাসিক কাল থেকেই ভাস্কর্য গড়ছে সারা বিশ্ব। জাতীয় বীর ও কিংবদন্তির কথা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ভাস্কর্যে। মিশর, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে শুরু করে সৌদি আরবেও রয়েছে এমন স্থাপনা।
ব্যতিক্রম নয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আমাদের দেশেও প্রাচীনকাল থেকেই আছে সে রেওয়াজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নির্মাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। দোলাইরপাড় চৌরাস্তা থেকে পদ্মা সেতুমুখী ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে মিলেছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার। এর সামনেই চোখে ত্রিপাল ঘেরা এই সড়কদ্বীপ। পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের নানা প্রান্তের মানুষ আসবে ঢাকায়, রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবেই দেখা হচ্ছে এ অংশটিকে, এখানেই স্থাপন হবে ভাস্কর্যটি। বেদীর কাজ এগিয়ে অনেকটাই, এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ভাস্কর্যের মডেল।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে নভেরার শিল্পকর্ম পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের কলাভবনের সামনে সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের অপরাজেয় বাংলা, টিএসসিতে শ্যামল চৌধুরীর রাজু ভাস্কর্যসহ নানা স্থাপত্যের প্রসঙ্গ টেনে মানের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান নাসিমা হক মিতু। দেশের গৌরবময় অধ্যায়গুলো প্রজন্মের পর প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে সঠিক স্থানে মানসম্পন্ন ভাস্কর্য স্থাপনকে গুরুত্ব অপরিসীম।