পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে চার বছর অতিবাহিত হচ্ছে। এ সময়টা সাফল্যের সাথেই তিনি পার করেছেন বলে পৌরসভার অধিবাসীদের মাঝে জনশ্রুতি রয়েছে।
তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলায় আওয়ামী রাজনীতিতে এ প্রজন্মের তৃতীয় পুরুষ। প্রথম পুরুষ ছিলেন তার দাদা চলনবিলের সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব হাজী মো. মহসীন আলী। আর গোলাম হাসনাইন রাসেলের বাবা বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মকবুল হোসেন দ্বিতীয় পুরুষ।
মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল (সাধারণ সম্পাদক পৌর আওমী লীগ) এখন মানুষের অন্তরে বিরাজমান। তিনি এখন সবার কাছেই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।
ভাঙ্গুড়া পৌরবাসীর কাছে নির্বাচনি অঙ্গীকার মোতাবেক রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, আলোকিত নগর, মাদক নিয়ন্ত্রণ, মশক নিধন, ড্রেনেজ উন্নয়ন, বর্ষা মৌসুমে পানি অপসারণ, গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, অসুস্থ ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন তার উল্লেখযোগ্য অবদান।
পৌরবাসীর সুরক্ষার জন্য পৌরসদরে সিসি ক্যামেরা বসানো, মসজিদ নির্মাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান, হিন্দু ধর্মালম্বিদের মন্দির ও শশান নির্মানে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, পৌর আওয়ামী লীগের ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নিয়মিত মিটিং করে তৃণমুল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে সহায়তা,গরীব ভ্যান রিকশা শ্রমিকদের ঈদের শুভেচ্ছা সরুপ ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া, সিএনজি অটোরিকশা গ্রুপ, ব্যবসায়িক সমিতি, থানা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, প্রত্যেক কমিটির বিনোদনের জন্য পিকনিকের আয়োজন করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমনের ব্যবস্থা করা, রাষ্ট্রিয়, রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন আয়োজন সফলতার সহিত শেষ করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সমুন্নত রাখাসহ প্রভৃতি অনুষ্ঠান উদযাপনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজশাহী বিভাগের মধ্যে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। করোনা কালিন সময়ে সরকারের সাহায্যের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে গরীব অসহায় মানুষের পাশে সকল প্রকার খাবার ও ওষধ সামগ্রী নিজে হাতে জনগনের মাঝে বিতরণ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন।
পাবনা- ৩ এলাকার সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন এর আদর্শে অনুপ্রাণিত ও নীতি নৈতিকতায় বিশ্বাসী ভাঙ্গুড়ার মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন গোলাম হাসনাইন রাসেল। পৌর এলাকার বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। পৌরসভার অধিবাসীরা এটাও দাবি করে বলেন, আগামীতেও গোলাম হাসনাইন রাসেলই মেয়র হিসাবে দেখতে চাই।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, আমি সাড়ে চার বছরে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি। চলতি অর্থ বছরেও কুয়েত প্রকল্পের অধীনে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ড্রেন এবং রাস্তা মিলে আরো ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার কাজের অনুমোদন নিয়ে এসেছি। যার কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হবে। আমার কাছে পৌর এলাকাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেশি। পৌর পিতা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নাগরিকদের সকল চাহিদা যথাসময়ে পূরণ করার চেষ্টা করছি ভবিষ্যতেও করব। ভাঙ্গুড়া পৌর সভাকে মডেল নগর হিসেবে গড়ে তুলতে সব সময় জনগনের পাশে আছি- থাকব ইনশাআল্লাহ।