বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শহীদ মীর কাসেম আলীর অবদানের কথা স্মরণ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের ফাঁসি কার্যকরের এই দিনকে স্মরণ করে গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এই অনুভূতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, মীর কাসেম আলী আজীবন বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক-বীমা, বহু মসজিদ-মাদ্রাসা এবং নানাবিধ ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার উদ্যোগ ছিল যুগান্তকারী। বাংলাদেশের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে তার অবদান স্মরণ রাখবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে এবং মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করে। সরকার তার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে তিনি (মীর কাসেম আলী) যে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন তা ইনশাআল্লাহ দীর্ঘকাল অব্যাহত থাকবে। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আমরা মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি, তিনি যেন মীর কাসেম আলীর শাহাদাত কবুল করেন এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। তার রেখে যাওয়া কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
সূত্র: আমার দেশ।