1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন—জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল: জামায়াতের তাহের চাটমোহরে আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল কারাগারে জবাবদিহিমূলক, মানবিক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব: প্রধান উপদেষ্টা ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা  ও আলোচনাসভা অন্যের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন : তারেক রহমান সাঁথিয়ায় সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন অবকাঠামো উচ্ছেদ খুনিদের ভয়ে কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে পারি না:শহীদ জাহিদুলের বাবা ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে:রাষ্ট্রপতির বাণী আসুন এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না : প্রধান উপদেষ্টা ইসির খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১০ আগস্ট, চূড়ান্ত তালিকা ৩১ আগস্ট

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন—জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল: জামায়াতের তাহের

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫ সময় দর্শন

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথমবাষির্কী উপলক্ষ্যে গণমিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “জনগণের রক্তের ওপর দিয়েই জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই আপনি এখন ক্ষমতায়। আপনি বা আপনার পরিবারের কোন সদস্য আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাই নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ঘোষণা করলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে তারা আপনাকে ছাড়বে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।”

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “গতানুগতির পদ্ধতির নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনসহ শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনই নির্বাচন ছিল। এসব নির্বাচনে ব্যাপক ভিত্তিক রিগিং,গণহারে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, ব্যালট ছিনতাই, দিনের ভোট রাতে করাসহ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত, এসব ছিলো ভূয়া ও নির্বাচনের নামে প্রহসন। তাই দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি তথা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “এ পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অপরাধ থাকবে না, ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখল হবে না। থাকবে না টাকার খেলা। যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই তারাই এ পদ্ধতির বিরোধীতা করছেন। তারা মাস্তানী ও অর্থের বিনিময়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান। কিন্তু জনগণ তাদের সে সুযোগ দেবে না। পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্যকোন পদ্ধতি তারা মেনে নেবে না।”

‘বিগত ১৫ বছর আওয়ামী-বাকশালীরা দেশে অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তারা আবার দৃশ্যপটে ফিরে আসার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বীর জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দেবেনা। যারা নতুন করে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরও জনগণ কোন ভাবেই মেনে নেবে না’-উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি অতীতের অপশাসন- দুঃশাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগের শাসনামল দেখেছি। কিন্তু মানুষের মুক্তি মেলেনি। জনগণ তাদের অধিকারের নিশ্চয়তা পায়নি। আপনারা যদি আমাদের এক বার সুযোগ দেন এবং আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে আমরা ৫৪ বছরের ইতিহাসই বদলে দেবো। দুর্নীতিবাজদের হয় দুর্নীতি ছাড়বে হবে, নয়তো জেলে যেতে হবে। আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা শুল্কমুক্ত গাড়ী কিনবেন না বা সরকারি প্লট গ্রহণ করবেন না।

তিনি দেশ ও জাতিকে নিয়ে জামায়াতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত সত্য, ন্যায় ও ইসনাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে জামায়াত কারো সাথে আপোষ করবে না বরং দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তা রক্ষার জন্য সবকিছু করবে। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

গণমিছিল মহাখালী রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় এসে মহানগরী আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান,জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার এবং ঢাকা মহনগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন প্রমূখ।

সূত্র: এফএনএস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host