1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৫৬ সময় দর্শন

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্ক হার ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থা ‘ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)’ এর মধ্যে চূড়ান্ত দফার আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোর কথা জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি চূড়ান্ত করার আগ মুহূর্তে ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ৭০টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বার্তায় উল্লেখ করা হয় -এই চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক সমন্বয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এমন অভ্যন্তরীণ নীতিগত সংস্কারও এর অন্তর্ভুক্ত। এগুলো অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্বেগের দিকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। আলোচনার অংশ হিসেবে, দেশগুলোকে মার্কিন পণ্য কেনার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে বলা হয়েছিল, যাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসে।

বিষয়গুলোর পরিধি বিবেচনা করলে, আলোচনা প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। শুল্ক ছাড় শুধুমাত্র মার্কিন রপ্তানির ওপর শুল্ক কমানোর সাথে যুক্ত ছিল না; বরং একটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অশুল্ক বাধা দূর করতে কতটা প্রস্তুত, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবেলা করতে কতটা আন্তরিক—সেটার ওপরও নির্ভর করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি দেশের শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে এসব বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতির গভীরতার ভিত্তিতে।

প্রেস উইং ওই বার্তায় উল্লেখ করে, বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্কহার পেয়েছে—যা তার মূল পোশাক খাতের প্রতিযোগীদের (যেমন শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া, যারা ১৯ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পেয়েছে) অনুরূপ। এর ফলে, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের আপেক্ষিক প্রতিযোগিতা অক্ষুণ্ন থাকছে। অপরদিকে, ভারত একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫ শতাংশ শুল্ক পেয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান আলোচক ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আমাদের পোশাক শিল্পকে রক্ষা করাই ছিল আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার প্রতিশ্রুতির দিকেও মনোযোগ দিয়েছি। এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্য তৈরি করবে।’

‘খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আজ আমরা একটি সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছি। এটি আমাদের পোশাক খাত এবং এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য সুখবর। আমরা আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অক্ষুণ্ন রেখেছি এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি’।

সূত্র: বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host