সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার পক্ষের আইনজীবী বিকাশ সিং সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে দাবি করলেন, তিনি আফসোস করছেন ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (এইমস) ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডা. সুধীর গুপ্তার সঙ্গে হওয়া তার কথোপকথনের কোনো রেকর্ডিং তিনি করেননি বলে। এখানেই শেষ নয়। প্রয়াত অভিনেতার ভিসেরার ময়নাতদন্ত করে এইমস এর তরফ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন বিকাশ সিং। নতুন করে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
১৪ জুন দুপুরে জানা যায় বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। সেদিনই তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে। সেখানকার পাঁচ চিকিৎসক জানান, গলায় দড়ি দেওয়ার ফলেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। কিন্তু এই রিপোর্ট মানতে চায়নি তার পরিবার এবং অগুনতি ভক্তরা। দেশজুড়ে রব ওঠে সিবিআই তদন্তের। অবশেষে সুপ্রিম রায়ে অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর হাতেই।
সিবিআই এর নির্দেশেই দিল্লির এইমস এর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের একটি দল ফের ময়নাতদন্ত করে সুশান্তের ভিসেরার। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৬ সদস্যের দল রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই এর কাছে। যেখানে তারা দাবি করেন, অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যার কারণেই হয়েছে। তাকে খুন করা হয়নি। একই সঙ্গে জানানো হয়, তার দেহে কোনো ক্ষতচিহ্নও ছিল না। শরীরে পাওয়া যায়নি কোনো মাদকও। ফলে বিষ দিয়ে খুন করার তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছিল এইমস এর বিশেষজ্ঞ দল।
কিন্তু কিছুদিন আগেই একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিকাশ সিং দাবি করেছিলেন, এইমস এর ফরেন্সিক দলের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্তা নিজেই তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর। বিকাশ সিং বলেন, আমি ওঁকে তখনই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম কোনও রকম সাহায্য আমি চাই না। শুধু সত্যিটা প্রমাণ করতে চাই। সেই কারণেই সুশান্তের দিদি মীতুর তোলা অভিনেতার মৃতদেহের কিছু ছবি আমি ওঁর সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। ছবি দেখেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলেছিলেন তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত সুশান্তকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে। আমি এমন মানুষ নই যিনি অন্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলা রেকর্ড করে রাখি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কতটা ভুল করেছিলাম সেদিন। তবে আমি নিশ্চিত, এর পুনরায় তদন্ত হলে সত্যি সামনে আসবেই।’
বিকাশ সিং ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন এইমস এর প্যানেলের দায়ের করা রিপোর্ট ভুল এবং ডা গুপ্তার আচরণ ‘আনপ্রফেশনাল’।
সূত্র: এই সময়