সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, আ. ক. ম মোজাম্মেল হক সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন এবং তা ভোগ দখলে রাখেন। পাশাপাশি, তার নামে খোলা তিনটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুন্থানের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়। এসময় আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দলের শীর্ষ নেতারাও গাঢাকা দেন। সরকার পতনের পর মোজাম্মেলও গাঢাকা দেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ভিডিওতে তাকে ভারতের একটি হোটেলে দেখা গেছে। তিনি হোটেলে বসে টিভি দেখছেন। পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, সরকার পতনের পর তিনি সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। এরপর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে গেছেন।
সূত্র : আমার দেশ