অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি তার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যু নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এবং সরাসরি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি জানান, তার বাবা—একজন স্কুলশিক্ষক—স্থানীয় একজন ঠিকাদারের অনুরোধে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
তিনি ব্যাখ্যা দেন, “গতকাল রাত ৯টার দিকে এক সাংবাদিক বাবার লাইসেন্স নিয়ে জানতে চাইলে আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করি। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে আমি ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি।”
আসিফ মাহমুদ জানান, তার বাবা আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। সরল বিশ্বাসে তার বাবা সেই পরামর্শ অনুযায়ী লাইসেন্স গ্রহণ করেন।
তবে উপদেষ্টা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন, “আমি যেহেতু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, এই অবস্থায় বাবার লাইসেন্স গ্রহণ করা একটি ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’, অর্থাৎ স্বার্থের সংঘাত। বিষয়টি বোঝানোর পর, আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।”
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, এই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো প্রকল্প বা কাজের জন্য কোথাও আবেদন করা হয়নি।
পোস্টের শেষাংশে আসিফ মাহমুদ বলেন, “বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেননি। আমি তাঁর পক্ষ থেকে এবং একজন সরকারি দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি এবং পদক্ষেপ অনেকের নজর কেড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও, আবার কেউ কেউ স্বচ্ছতা ও সততার প্রশ্ন তুলেছেন।
সূত্র: এফএনএস