পথ চারিদের নজর কেড়েছে কৃষিবিদের ফ্যাক্টরির গোডাউনের ছাদে যার হাতে করা ফলদ বাগান। তিনি হলেন কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা। বয়স ৪৪। বাড়ি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা গ্রামে।তিনি ২০০৬ সালে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে বংশী মহারাজ এন্ড এগ্রো টেক্নোলজী নামে একটি ফ্যাক্টরি ও গোডাউন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন এবং পাশা পাশি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে ২০০৯ সালে বি.এস.সি ফিশারীজ (অনার্স) এম.এস.ইন একোয়াকালচার (বি.এ.ইউ) পাস করেন।২০১৮ সালে নিজ ফ্যাক্টরিতে ১২ শতক গোডাউনের ছাদের উপর দৃষ্টি নন্দন তৈরি বাগান করেন। স্থানীয় বৃক্ষ মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা কিনে ছাদের উপর তৈরী করেছেন বাগান। বাগানের গাছ গুলিকে অবসর সময়ে দেখা শোনা করেন তিনি। বাগানের কাজে সহযোগিতা করেন তার সহযোগি সুজন কুমার। মাটি ও জৈব্য সার মিশানের কাজ তিনি নিজেই করেন বলে জানান।ছাদের বাগানে রয়েছে বেশ কয়েক প্রজাতির লেবু, কমলা,পেঁপে, মালটা, আপেল ,ওষুধি গাছ যেমন, ঘৃত কুমারী, তুলসী, এমনকি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণকারী গাছও।
সরেজমিন কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহার ফ্যাক্টরির গোডাউনের ছাদে গিয়ে দেখা যায়, ১০০টির মতো অর্ধেক করে কাটা তেলের ড্রাম।তার মধ্যে মাটির সাথে মেশানো হয়েছে জৈবিক সার। ছোট বড় বেশ কিছু মাটির টব। সবগুলিতে লেবু ,ফলের গাছ, ও ওষুধি গাছ শোভা পাচ্ছে। গাছে ধরেছে অসংখ্য লেবু। বিশেষ করে চায়না স্কটলেবু একটি গাছে শতধিক লেবু ধরেছে যা বাগানের সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আর গাছের পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে ন্যাপথন বেধে দেওয়া হয়েছে। অবসর সময়ে সুজন কুমার ও এই বাগানের পরিচর্যা করেন।
এসময় কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা জানান, কম বেশি আমরা সকলেই লেবু পছন্দ করি।এক একটি লেবু গাছে ৭০ থেকে ১০০ টি লেবু ধরে বলে জানান তিনি।এর সাথে বিভিন্ন ধরণের ফুল এবং ওষুধি গাছও রয়েছে।এ গাছ গুলো ড্রামে লাগানো হয় একটা ড্রাম ১হাজার থেকে ১হাজার ২শ টাকায় কিনে সেখানে ২ টি গাছ লাগানো হয় বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল হক জানান, ফ্যাক্টরির গোডাউনের ছাদে বাগান তৈরি করা একটি সম্ভাবনাময় বিষয়।আমরা বাসা বাড়ির ছাদে ও ভাসামান শব্জি চাষ করতে সব সময় জনসাধারণকে উপদেশ দিয়ে থাকি পাশা পাশি ফ্যাক্টরির গোডাউনের ছাদেও বাগান করলে এটা খুব ভালো হয়।