আমদানি বাড়ার ফলে জেলার বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব রকমের সবজির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
কৃষকরা বলছেন, এখন দাম কম থাকলেও আগাম জাতের সবজিতে এবার ভালো লাভ হয়েছে। লোকসানের আশঙ্কা নেই।
উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়া সবজি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা। এই হিসেবে বগুড়াকে উত্তরাঞ্চলের সবজির ভান্ডার বলা হয়। জেলায় উৎপাদিত সবজি চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এবার জেলায় নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে দেরিতে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে বেশি। এ ছাড়া শীতকালীন সব ধরণের সবজি একসাথে বাজারে আসছে। এ কারণে দাম কমা শুরু হয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
আজ শনিবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরণের সবজি আগের চেয়ে কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা, ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, গাঁজর ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা নতুন পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি পিস বিক্রি করতে দেখা যায়।বাধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে পাইকারি প্রতিটি সবজির দাম প্রতি মণে কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
শহরের রাজাবাজার এলাকায় সবজি কিনতে আসা আলেয়া আক্তার জানান,বাজারে এখন সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম স্বাভাবিক। মানুষ এখন পছন্দ মতো সবজি কিনতে পারছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, জেলায় চলতি বছর শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০হেক্টর জমিতে। ফলন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ বছর আগাম জাতের সবজি উৎপাদন হবে প্রায় ৮০ হাজার টন। সব মিলিয়ে জেলায় ৩ লাখ ৬ হাজার টনের বেশি সবজি উৎপাদন হবে। গত বছর ১৩ হাজার ১৯০ হেক্টর জমি থেকে তিন লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়েছিল।
বাসস