শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারানির্যাতিত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বর্তমান ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) এর নাম পুনরায় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ (বিডিআর) করাসহ ৮ দফা দাবি জানান।
এসময় কারা নির্যাতিত বিডিআর সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর জওয়ান ও সাধারণ নাগরিকসহ ৭৪ জন শহীদ হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের নির্ভরযোগ্য পুনরায় তদন্ত হওয়া দরকার। দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক, নির্ভরযোগ্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সঠিক তদন্ত করা হোক। এতে দেশের মানুষ জানতে পারবে প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল।
তিনি আরও বলেন, যে কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বপ্রথম যন্ত্রণাময় ১৬ বছর ধরে কারাভোগ করা নিরীহ সকল বিডিআরকে কারামুক্তি করা হোক এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে মূল পরিকল্পনাকারী ও ঘাতকদের খুঁজে বের করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।
৮ দফা দাবিতে যা ছিল:
১। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক সব মামলা ও প্রহসন মূলক সব রায় বাতিল করতে হবে।
২। ১৬ বছর ধরে কারাগারে থাকা নির্দোষ সব বিডিআর সদস্যদের নিঃস্বর্ত কারামুক্তি দিতে হবে।
৩। হাইকোর্টের রিট অনুযায়ী দ্রুত পুনঃ তদন্ত শুরু করতে হবে।
৪। নিরীহ বিডিআর’দের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৫। সব বিডিআর সদস্যদের (আনুমানিক ১৮ হাজার ৫২০ জনকে) চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
৬। সব সেনা শহীদ, বিডিআর শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত সব বিডিআর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ (বেতন, ভাতা ও পেনশন) পুনর্বাসন করতে হবে।
৭। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ রাইফেলস নাম পুনঃস্থাপন করতে হবে।
১০। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করতে হবে।
এফএনএস