ইন্টারপোলের ৯২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে গেলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ মো. ময়নুল ইসলাম। শনিবার (২ নভেম্বর) তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। চার দিনব্যাপী (৪-৭ নভেম্বর) ইন্টারপোলের ৯২তম সাধারণ অধিবেশন যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ইন্টারপোলের ১৯৬টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন।আইজিপি সম্মেলনে ২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য হলেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী।
অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, কাতার, জার্মানি, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইতালি এ ১৩টি দেশের পুলিশ প্রতিনিধিদল এবং ইন্টারপোলের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা (এইচআরএম) বিভাগের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক পুলিশি সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ পুলিশের বৈশ্বিক পুলিশি সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
ইন্টারপোলের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বায়োমেট্রিক ফ্রন্টলাইন সক্ষমতা, এআই এবং পুলিশিংয়ের ভবিষ্যৎ, টেকসই বহুপাক্ষিকতা একটি সমন্বিত বিশ্ব নিরাপত্তা স্থাপত্য ও আইন প্রয়োগকারীদের নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ এ ৪টি প্রধান ইন্টারেক্টিভ প্যানেল থাকবে, যা সংস্থাটির বৈশ্বিক অপরাধ ও আন্তর্জাতিক পুলিশিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করবে।
এ ছাড়াও ইন্টারপোলের বিভিন্ন আইন ও বিধি সংশোধন, এক্সিকিউটিভ কমিটির নির্বাচন, বার্ষিক বাজেট প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ইন্টারপোলের সদস্য দেশসমূহের পুলিশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পুলিশি সহযোগিতা অধিকতর কার্যকর করার ক্ষেত্রে এ অধিবেশন অতীব গুরুত্ববহ এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান আগামী ৯ নভেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালের ১৪ অক্টোবর ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে।