বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাত হয়। সোমবার ২৮ অক্টোবর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা মিলগুলোকে উৎপাদনে নিতে চাচ্ছি। গতকাল প্রাণ গ্রুপকে লিজের মাধ্যমে দুটি মিল হস্তান্তর করেছি। প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য দিলেও পরে সময়সীমা বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকে। প্রতিটা মিলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিনিয়োগকারীর জন্য লিজ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া উন্মুক্ত। এ ছাড়া নৌখাতে বিশেষ করে ডকইয়ার্ড ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা আছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোরিয়া এ দেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে চলমান আছে। দেশে বিভিন্ন খাতে অনেক কোরিয়ার মানুষ কাজ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জানায়, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম পাট আমদানিকারক দেশ।
এ সময় প্রতিনিধিদল খুলনাতে অবস্থিত মিল সরাসরি পরিদর্শনের আগ্রহ দেখালে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা সভায় উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পরিদর্শনের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশ করেন।সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস