মিছিলে তারা এই মুহূর্তে খবর এলো— ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো, ছাত্রলীগ জঙ্গি খুনি হাসিনার সঙ্গী, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত, ছাত্রলীগ গর্তে, খুনি হাসিনা ভারতে, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম, এসব স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকে বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্ক মুক্ত হলো। ধন্যবাদ এই সরকারকে। আমরা আজীবন এই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর যারা আছেন, আপনারাও শিক্ষা নিন।
হাসিব আল ইসলাম বলেন, একজন চারণ কবি বলেছিলেন ছাত্রলীগ নাকি ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু আজকে তারা কোথায়? আজকে খুনি হাসিনাও নাই, চারণ কবিও নাই, ছাত্রলীগও নাই। তারা বলেছিল, তারা নাকি আমাদের ৭ মিনিটে আউট করবে। আজকে আমরা দেখেছি, তারা মধুর ক্যান্টিনের সামনে ৪৬ সেকেন্ডে আউট হয়ে গেছে। তারা রাজপথ থেকে সৃষ্টি হয়ে রাজপথ থেকে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনও মুজিববাদের ঠিকানা হবে না। ২৪ বিপ্লব সবাইকে দেখিয়েছে—মুজিববাদ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে সত্য ইতিহাস গোপন করে রেখেছিল। কিন্তু এখন তারা আর সেটা পারবে না। আমরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করেছি। এখন দেশের সব সাধারণ মানুষ লুকায়িত সত্য ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
রিফাত রশিদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে ছাত্রলীগ গর্তে লুকিয়েছে। তাদের নেত্রী ভারতে পালিয়ে গেলেও তাদেরকে এদেশে ফেলে গেছে। দেশের সব ছাত্র-জনতাকে বলতে চাই— আপনারা একটা একটা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গর্ত থেকে টেনে তুলে ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করবেন। একজনও যেন আইনের হাত থেকে রক্ষা না পায়।