ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় দেদারছে তৈরি হচ্ছে ভেজাল দুধ। লোভী এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা প্রকার ভেজাল উপকরণ মিশিয়ে এই অস্বাস্থ্যকর দুধ প্রস্তুত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে এ রকম একটি কারখানা আবিস্কার করেন ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা।
জানাগেছে,ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সহস্রাধিক ডেইরি খামার রয়েছে। মিল্ক ভিটা, ব্র্যাক,আকিজ,প্রানসহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এখান থেকে বিশুদ্ধ দুধ ক্রয় করে। এজন্য স্থানীয়ভাবে রয়েছে তাদের দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র। এই ব্যবসার সাথে জড়িত কতিপয় লোভী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ভেজাল দুধ প্রস্তুত করে খামারের দুধের সাথে মিশিয়ে ঐসব কেন্দ্রে সরবরাহ করেন। এভাবে তারা অনেকেই মোটা টাকার মালিক হয়েছেন! পক্ষান্তরে এসব ভেজাল দুধ খেয়ে অনেক শিশু পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে শিশু স্বাস্থ্য পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
এদিকে দুধে ভোজালকারিরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় তারা কাউকে পরোয়াও করতে চায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর চালানো হয় সন্ত্রাসী হামলা। সম্প্রতি দৈনিক খোলা কাগজের ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি মানিক হোসেন ভেজাল দুধ প্রস্তুতের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করায় তাকে বেদম প্রহার করা হয় এবং তার একটা পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো.শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,পুলিশ এ সংক্রান্ত একটি মামলার চার্জশীট প্রস্তুত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার জানান,মঙ্গলবার রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখার তথ্যানুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)তাসমীয়া আক্তার রোজী’র নেতৃত্বে উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে একটি ভেজাল দুধ তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু ক্ষতিকর উপকরণ জব্দ করা হয়,যা দিয়ে অস্বাস্থ্যকর দুধ প্রস্তুত করা হতো। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ এর ৪৫ ধারায় কারখানার মালিক ফারুক হোসেন কে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় পাবনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই হাফিজুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন বলে ইউএনও ডিডিএন নিউজকে জানিয়েছেন।