পাবনার সাঁথিয়ায় খড়ার জালে পেঁচানো বিষধর সাপেড় কামড়ে প্রাণ গেল জাহেদ আলী খাঁ(৬৫)নামের এক মৎস্যজীবির। নিহত ব্যাক্তি সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি গ্রামের মৃত আবেদ আলী খাঁর ছেলে। তিনি পেশায় মৎস্যজীবি ও কৃষক ছিলেন।বুধবার রাতে(২ সেপ্টেম্বর)তাঁকে সাপে কামড় দিলেও বৃহস্পতিবার (৩সেপ্টম্বর)ভোর রাতে পাবনা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাগ্নে ইলিয়াস খাঁন জানান,বুধবার(২অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জাহেদ আলী খাঁ বাড়ির পাশে খড়ায় জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় জালের সাথে পেঁচানো সাপ তাঁর হাতে কামড় দেয়। বিষয়টি তিনি পরিবারকে জানালে তাকে প্রথমে বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামে বেল্লাল হোসেন নামে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় স্বজনেরা। কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিয়ে বিষ নামিয়ে দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
পরে ওইদিন রাত এগারোটার দিকে হঠাৎ জাহেদ আলী খাঁ আবারো অসুস্থবোধ করলে পরিবারকে তিনি বিষয়টি জানালে স্বজনেরা তাকে অন্য আরেকজন কবিরাজের কাছে নিয়ে যান। ওই কবিরাজ অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে পাবনা নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে বিষাক্ত সাপটিকে ধরে রেখেছেন নিহতের স্বজনেরা।
সাপটিকে কেউ চিনতে না পাড়ায় রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে কথা হলে তিনি সাপটিকে কালাচ সাপ নাম নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন,কালাচ সাপ মারাত্বক বিষধর। এ সাপ কামড় দিলে অনেক সময় মানুষ বুঝতে পারে না যে সাপে কেটেছে। তবে দ্রæত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিলে বাঁচতে পারে। বিষধর যে কোনো সাপ কামড় দিলে কোন ওঝার কাছে না নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
করমজা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, খড়ার জালের বিষাক্ত সাপের কামড়ে শামুকজানি গ্রামের জাহেদ আলী খাঁ নামের এক ব্যক্তির করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।