পাবনা-৩ (ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর,ফরিদুপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আলহাজ¦ মো. মকবুল হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি করতে নয়, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক হিসাবে নৌকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। মনে রাখবেন এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন, হয়তো পরবর্তী সময়ে আর সুযোগ পাবো না। আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা এলাকার মানুষের দ্বারগোড়ায় এনে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে। আমি জানি পাবনা-৩ এলাকার মানুষ নৌকার পক্ষেই থাকবে তাই জীবনের শেষ বেলায় নৌকাকে ভোট দিয়ে আমাকে আবার জয়ী করবেন। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি এই তিন উপজেলার সাধারণ মানুষকে সেবার মাধ্যমে সকলের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই। আর আমি যেন, আবার নৌকায় ফসল ভরে শেখ হাসিনার কাছে ফেরত নিয়ে যেতে পারি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম। এ নির্বাচনী জনসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। এ সময় চাটমোহরের এগারোটি ইউনিয়নের নৌকার সমর্থনে হাজারোও কর্মী ও জনতার মুখে শ্লোগান উচ্চারিত হয় ‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। উন্নয়নের প্রতীক নৌকা, নৌকা’।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলার সংরক্ষিত আসনের এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাদিরা ইয়াসমিন জলি, সহ-সভাপতি এ্যাড. বেলায়েত হোসেন বিল্লু,সহ-সভাপতি আ. হান্নান মান্না, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আহাদ বাবু, সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তফিজুর রহমান সুইট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বাকি বিল্লাহ, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবির প্রমূখ।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী (চাটমোহর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান) আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতীকের সাথে নৌকার লড়াই হবে বলে এলাকার ভোটাররা মনে করেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।