দীর্ঘ এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাতে যাচ্ছেন তিনি। তবে বিপিএল শুরুর তিন দিন আগেই ইনজুরির শঙ্কায় পড়েছেন বিপিএলের সফলতম এই অধিনায়ক। একাডেমি মাঠে বোলিং করতে গিয়ে হঠাৎ কোমরে ব্যথা নিয়ে উঠে যান তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুতে মাশরাফিকে পাওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। সবকিছু নির্ভর করছে তার ফিটনেসের উপর, ব্যথা কমার উপর। আজ মঙ্গলবার অনুশীলন চলাকালীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ফিজিও এনামুল হক।
এনামুল বলেন, ‘কোমরের পুরোনো ব্যথা থাকায় বোলিং করেননি মাশরাফি। তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তার খেলা না খেলা নির্ভর করছে ব্যথা মুক্ত হওয়ার ওপর, ফিট থাকার ওপর। এ ক্ষেত্রে প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। ব্যথা মুক্ত হওয়া ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’
আজ বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনে এসে শুরুতে কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপ করেন মাশরাফি। এরপর তামিম ইকবালকে নিয়ে বোলিং শুরু করেন। শর্ট রান আপে ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ বোলিং করার পর লং রানআপে বোলিং করার চেষ্টা করেন। এতদিন ধরে শর্ট রান আপেই বোলিং করেছেন, আজ লং রানআপে বোলিং করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি। প্রথমবার বল ছুড়তে পেরেছিলেন, পরের দুইবার পারেননি। এরপরই মাঠে শুয়ে পড়েন মাশরাফি।
মাশরাফির লং রানআপে বোলিং নিয়ে এনামুল বলেন, ‘আসলে নো বল বোঝার জন্য লং রানআপে বোলিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন মাশরাফি। কিন্তু ব্যথা থাকায় শেষ পর্যন্ত আর পারেননি।’
এর আগে মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে এক প্রশ্নে ঢাকার কোচ বাবুল বলেছিলেন, ‘মাশরাফি কিন্তু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও পরের দিকে এসে ম্যাচ জিতিয়েছে, শুরুতে খেলেনি। এবার বিপিএল খেলার জন্য সে প্রায় ১০ কেজি ওজন কমিয়েছে। তার প্রস্তুতি ওরকম ছিল। আমার মনে হয় মাশরাফি ইজ মাশরাফি। ইনশাআল্লাহ্ তাকে নিয়মিত ম্যাচেই দেখা যাবে।’
মাশরাফি সর্বশেষ বল হাতে দৌড়েছেন ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি তিনি। বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে ফেরার কথা ছিল, ফিট না থাকায় পারেননি। এখন বিপিএলেও শঙ্কা।