অনলাইন ডেস্ক
বিউটি সেলুনগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড় লেগেই থাকে। সৌন্দর্য বাড়াতে হরহামেশাই ছুটে যান তারা। নিজের শরীরের যত্ন নিতে গিয়ে যে পা হারাতে হবে; এমন ঘটনা হয়তো ঘটেনি। এমনই এক ঘটনা ঘটলো এক তরুণীর সঙ্গে।
বিউটি পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করার সময় হঠাৎ তার এক পা কেটে যায়। পরে জীবাণুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তার পায়ে। এতে তার শিরাগুলোতেও ব্লক হয়ে যায়। অনেকদিন ভোগার পর তিনি চিকিৎসককের কাছে যান। সেখানকার চিকিৎসক ওই নারীকে পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী ফ্লোরিডার বাসিন্দা ক্লারা শেলম্যান। তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় টাম্পা এলাকার ট্যামি’স নেইলস টু নামে এক পার্লারে গিয়ে এ দুর্ঘটনা শিকার হন।
জানা গেছে, পেডিকিওরের সময় সেখানকার কর্মীর অসচেতনতার জন্য ক্লারার পা কেটে যায়। পরে সেখানে সংক্রমণ দেখা দেয়। ক্লারার আগে থেকেই পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজ (পিএডি) থাকায় সংক্রমণ খুব দ্রুত তার পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজের ক্ষেত্রে পায়ের মধ্যে থাকা শিরাগুলোতে ব্লক হয়ে যায়। ফলে পা সচল রাখার জন্য যে, পরিমাণ পুষ্টি ও অক্সিজেনের দরকার হয় সেটা হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক থেকে পায়ে পৌঁছায় না। পায়ের পেশি ও স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণ এত বেশি ছড়িয়ে পড়ে যে ক্লারার পা চিকিৎসকরা কেটে ফেলতে বাধ্য হয়।
এদিকে, এক পেডিকিওরের কারণে জীবন বদলানোর প্রায় তিন বছর পর ট্যামি’স নেইলস টু প্রথমে ওই ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করে। পরে ভুলের কারণে এ দুঃখজনক ঘটে বলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে ভুক্তভোগী ক্লারাকে ১৭ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয় পার্লারটি।