ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ
এই পাড়ে সুলতানা জাহান বকুল ওই পাড়ে নুর হাজান বেগম মুক্তি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত। মাঝখানে গুমানি নদী।একই পরিবারের আপন দুই বোন নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দুই বোনের মধ্যে একজন হল সুলতানা জাহান বকুল ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান ৪র্থ ধাপে অপরজন নুরজাহান মুক্তি ও ৩য় ধাপে পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গুমানি নদীর এপার অষ্টমনিষা ও ওপার নিমাইচড়া পাশাপাশি দ্ইু ইউনিয়নের নির্বাচিত দুই আপন বোন চেয়ারম্যান। তাদের পরিবারে বইছে খুশি হওয়া।
গুমানি নদীর তীর ঘেঁষে দুই পাড়ে দুই ইউনিয়ন পরিষদ । ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ও চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ। দুই ইউনিয়ন পরিষদে আপন দুই বোন সুলতানা জাহান বকুল ও নুরজাহান বেগম মুক্তি চোয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দুই বোনের জন্মভুমি উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড় বিশাকোল গ্রামে । পিতা আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহিম । বৈবাহিক ও চাকুরির সুবাদে সুলতানা জাহান বকুল অষ্টমনিষা ইউনিয়ন এলাকায় ও নুরজাহান চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা দুজনই বাল্যকাল থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্দশে অকৃষ্ট হয়ে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় সুলতানা জাহান বকুল ভাঙ্গুড়া উপজেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ,ইউপি সদস্য,চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছোট বোন নুরজাহান বেগম মুক্তি চাটমোহর উপজেলা নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতাবস্থায় ৩য় ধাপের গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের দলীয় প্রতীক নৌকা পান এবং একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ৬২৬৩ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়।
অপরদিকে গত ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীক পান সুলতানা জাহান বকুল এবং তিনিও একাদিক প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ৬০৩১ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাদের পরিবারে বর্তমানে বইছে খুশির হাওয়া । তারা জানান, সুখে দুখে সব সময় ইউনিয়নের জনগণের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চান ।