অনলাইন ডেস্কঃ
গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিশ্চিতকরণ ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বকশীবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাকি ছয় কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
অভিযুক্ত বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তারসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে এদিন দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-
১। শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে,।
২। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করা যাবে না,
৩। কলেজের সামনে সুন্দরমতো বাস থামাতে হবে,
৪। মহিলা সিট নিশ্চিত করা,
৫। সম্মানের সঙ্গে গাড়িতে উঠার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা,
৬। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
৭। ধর্ষণের হুমকি প্রদানকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা,
৮। প্রত্যেক বাসস্টপে (কাজলা, সাইনবোর্ড, রাজারবাগ, শনিরআখরা) সব ধরনের বাস থামাতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের উঠাতে হবে,
৯। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করা যাবে না।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বকশীবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘আমার বোন লাঞ্ছিত কেন?’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী জানান, বাসগুলো হাফ ভাড়া দেওয়ায় ছাত্রীদের তোলে না। ছাত্রী দেখলে দরজা বন্ধ করে রাখে। হাফ ভাড়া দিতে চাইলেই বাসে হইহুল্লোড় করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।
‘আমরা সুশৃঙ্খলভাবে বাসে চলাচল করতে চাই। এ দাবিতে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি’, যোগ করেন ওই ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা নারীরা বাসে নানা হয়রানির শিকার হই। নানা অশোভন আচরণ করে বাসের হেলপাররা। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমাদের হাফ ভাড়া নিতে হবে, সেই দাবিও জানাই।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ঠিকানা পরিবহনের বাসে হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে চালকের সহকারীর বিরুদ্ধে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করে জানান, হাফ ভাড়া দেওয়ায় বাসের চালক ও হেলপার তাকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। তিনি কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিরআখড়া থেকে ঠিকানা পরিবহনের বাসে ওঠেন। সেখান থেকে কলেজের ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু তার কাছ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া রাখা হলে তিনি নিজেকে স্টুডেন্ট বলে ১০ টাকা ফেরত চাইলে হেলপার তার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং নামার সময়ে তাকে পাঁচ টাকা দিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেন। বাসটি চলন্ত অবস্থায় থাকায় সেটির নম্বর মনে রাখতে পারেননি ওই ছাত্রী।