1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ভাঙ্গুড়ায় চতুর্থ শ্রেণীর দুই কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১
  • ১৮২ সময় দর্শন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হাসিনা-মোমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

গত (৭ আগস্ট) বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় ফলাফল ঘোষনার পরপরই এই অভিযোগ করেছে একাধিক প্রার্থী ও তার অভিভাবকবৃন্দ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, অষ্টমনিষা হাসিনা-মোমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২১ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। বিধি মোতাবেক আবেদনকৃত প্রার্থীর মধ্যে থেকে ১৭ জন প্রার্থীকে বৈধ্য বলে ঘোষণা করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র ইস্যু করেন কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৭ আগস্ট শনিবার অত্র বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় নারী-পুরুষসহ ১৭ জন অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষার পর ফলাফল ঘোষনা না করে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক সরকার তার অফিস কক্ষে নিয়োগ কমিটি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম ঘোষনা করে অন্যান্য প্রার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। পরদিন রোববার সকালে প্রার্থীরা বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল টাঙানো না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রার্থী ও তার অভিভাবকরা জানান, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক সরকারের সহোদর ভাই হওয়ায় এই নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বানিজ্য হয়েছে।

তারা আরোও অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে থাকাতে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ অথবা স্কুলের কোন উন্নতিই নেই। করোনাকালীন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বহু আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার নিয়ম বিষয়ে আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যে ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ কমিটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল আলম বলেন, এই পরীক্ষায় অনৈতিক কোনো অর্থ লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে প্রধান শিক্ষককে ফলাফলের কাগজটি নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিতে বলেছি।

তবে নিয়োগ পরীক্ষার চুড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক সরকার কোনো বক্তব্য দেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host